দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ জুন:“মাত্র ১ মাস হল হিরণ বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এর মধ্যেই, কোভিড পরিষেবায় ও যেভাবে কাজ করছে, তা অন্যান্য বিধায়ক তথা আমাদের সকলের কাছে মডেল! ওই প্রথম হেল্পলাইন চালু করেছে। নিজের বিধানসভা কার্যালয়ে ২০ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার এনে রেখেছে। এসব কাজ ও প্রথম দিন থেকেই করে চলেছে। তা অনুসরণ করেছি আমরাও। আমি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমার সহকর্মী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় কে এই জন্য সাধুবাদ জানাই”। খড়্গপুর সদরের বিধায়ক হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়’কে পাশে নিয়ে, শুক্রবার সন্ধ্যায় এমন মন্তব্যই করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যায় হিরণের খড়্গপুরের নতুন ভাড়া বাড়িতে তাঁর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানেই তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “খড়্গপুর শহরে বিজেপির বহু ঘরছাড়া কর্মী আশ্রয় নিয়েছেন। দাঁতন-কেশিয়াড়ি-নারায়ণগড় প্রভৃতি এলাকার অসংখ্য বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া হয়েছেন। বিধায়ক হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে খড়্গপুরে। আমি আজ তাদের সঙ্গেও দেখা করে জানিয়েছি, কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ঘরছাড়া কর্মীদের সসম্মানে নিজেদের বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে। তারপরও যদি তাদের উপর আক্রমণ হয়, সেই দায়িত্ব স্থানীয় থানার। আমি হিরণ’কে ঘরছাড়া কর্মীদের তালিকা করে দিতে বলেছি। আমাদের আইনজীবী নেত্রীর হাতে তা তুলে দেব।”
খড়্গপুরে হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী :

এদিকে, উপস্থিত সাংবাদিকরা যখন শুভেন্দু অধিকারী’র কাছে তাঁর প্রতি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের করা বিভিন্ন কটাক্ষের বিষয়ে প্রশ্ন করেন, শুভেন্দু উত্তর দেন- “চিটফান্ডের মামলায় সাড়ে তিন বছর জেল খাটা আসামির করা কোনো মন্তব্যের উত্তরই আমি দেবো না। একথা আমি আগেও জানিয়েছি, আজও বললাম।” শুভেন্দু আজ বর্তমান তৃণমূল সরকারের ঔদ্ধত্য নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, “২০০৬ সালে ২৩৫ টা আসন নিয়ে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, কিন্তু ২ বছরের মধ্যেই তাদের সব ঔদ্ধত্য শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই, বর্তমান তৃণমূল সরকার যেন সাবধান হয়ে যায়।” বিজেপি দল যে তাদের কর্মীদের পাশে আছে এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাদের রাজনৈতিক লড়াই চলবে, আজ খড়্গপুর শহর থেকে এই বার্তা দিয়ে কর্মীদের আশ্বস্ত করে যান শুভেন্দু।

thebengalpost.in
হিরন ও শুভেন্দু :