দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ জানুয়ারি: এ যেন খানিক উলট-পুরাণ! এবার, বনদপ্তরের কাটা গাছ উদ্ধার হল BJP-র স্থানীয় বুথ সভাপতির বাড়ি থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের তিলাবনী এলাকায়। রবিবার বিকেলে অভিযুক্ত BJP নেতা কৃষ্ণসাধন ঘোষের বাড়ি থেকে কাটা গাছ বা গাছের লগ বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গেছেন আড়াবাড়ি রেঞ্জের মিরগা বিটের আধিকারিক ও বনকর্মীরা। বনদপ্তরের এই অভিযানে সঙ্গে ছিলেন শালবনী থানার পুলিশ কর্মীরাও। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বনদপ্তর। যদিও বিষয়টিকে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্বের চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত বিজেপি নেতা। উল্লেখ্য যে, এর আগে শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের ক্ষেত্রে এরকম নানা অভিযোগ উঠে এলেও, BJP নেতার এই কাণ্ডে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
বনদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, বনদপ্তরের তরফে ওই এলাকায় জঙ্গল কাটার কাজ চলছিল। তার মধ্যেই এলাকার বিজেপি বুথ সভাপতি তথা বনরক্ষা কমিটির সদস্য কৃষ্ণসাধন ঘোষ বেশকিছু কাটা গাছ নিজের বাড়িতে নিয়ে চলে যান বলে অভিযোগ জানায় বনরক্ষা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। বিষয়টি জানাজানি হতেই রবিবার বিকেল নাগাদ অভিযুক্ত বিজেপি নেতার বাড়িতে শালবনী থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হানা দেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। বাড়িতে হানা দিয়ে বিজেপি নেতার বাড়ির ছাদ থেকে সেই সমস্ত কাটা গাছ বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায় বনদপ্তর। এই বিষয়ে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা কৃষ্ণসাধন ঘোষ বলেন, তিনি বিজেপি করেন বলে, চক্রান্ত করা হয়ছে। ওগুলো কাটা গাছ নয়, গাছের ডালপালা! তবে, বিজেপি নেতার অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি কৌশিক হাজরা বলেন, “উনি এই ধরণের কাজকর্মের সঙ্গেই যুক্ত। এর আগেও এই ধরণের কাজ করেছেন। ধরা পড়েননি। এবার হাতেনাতে ধরা পড়েছেন। এরসঙ্গে তৃণমূলের কোন যোগ নেই।” উল্লেখ্য যে, অভিযুক্ত BJP নেতা একসময় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ছিলেন বলে জানা যায়। কয়েক বছর হল তিনি বিজেপিতে এসেছেন। এদিকে, গাছ উদ্ধারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন আড়াবাড়ি রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার মলয় কুমার ঘোষ। সমস্ত কাটা গাছ ওই বিজেপি নেতার বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং অভিযুক্তকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। এই বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন রেঞ্জ অফিসার।