দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ জুন: নিউটাউন কাণ্ডে পরতে পরতে রহস্য! রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একমাত্র অস্ত্র এখন পাঞ্জাবের কুখ্যাত গ্যাংস্টার ভরত কুমার ওরফে সুমিত কুমার। গতকালই কলকাতা পুলিশ জানতে পেরেছে, ভরত কুমার ওরফে সুমিত কুমার যে সিম ব্যবহার করে ব্রোকার বা বাড়ি দালালদের ফোন করেছিল, সেটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার পশ্চিম রামপুরা গ্রামের বাসিন্দা আকাশ পালের নামে তোলা হয়েছিল গত ১৭ মে। সেইসঙ্গে একটি নতুন মোবাইল কেনা হয়েছিল। যার নম্বর তদন্তের স্বার্থে এখনই জানানো হচ্ছে না। যদিও পিংলা থানা ও স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, এই নামে (আকাশ পাল) পিংলার রামপুরা এলাকায় কোনো বাসিন্দা নেই। তাহলে তার নামের আধার কার্ড এলো কোথা থেকে, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ!

thebengalpost.in
জাল পাসপোর্ট সুমিত কুমারের নামে :

thebengalpost.in
পিংলার গ্রামে হদিশ মিললো না আকাশের :

এ প্রসঙ্গে এও উল্লেখ্য যে, মাদক পাচার থেকে শুরু করে অস্ত্র পাচার কিংবা নাম ভাঙ্গিয়ে ব্রোকারদের ফোন করা, সবক্ষেত্রেই ভুল্লার এবং ভরতরা অত্যাধুনিক “সিম বক্স” ব্যবহার করত! যার ফলে, তাদের মোবাইল লোকেশন বা টাওয়ার লোকেশন বোঝা যেত না! এমনকি, মোবাইল স্ক্রিনে ফোন নাম্বারও উঠত না। ফলে, দুষ্কৃতীদের ধরা বেশ কঠিন হয়ে উঠছিল। কিন্তু, কলকাতা পুলিশ সাফল্য পেল “অপারেশন জ্যাক” এর হাত ধরে! পুলিশি তদন্তে বা অপারেশনে “জ্যাক” হল লিংক ম্যান। তার সূত্র ধরেই অপারেশন চালানো হয়। এক্ষেত্রে, কলকাতা পুলিশ ও পাঞ্জাব পুলিশের কাছে “জ্যাক” হয়ে উঠেছিল ভরত কুমার। যে ভরত কুমার’ই সুমিত কুমার নামে জাল পাসপোর্ট তৈরি করে নিউটাউনের সাপুরজিতে ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় জয়পাল ও যশপ্রীতের জন্য। ঘটনাচক্রে, গত বুধবার পাঞ্জাব পুলিশের হাতে ধরা পড়ে মাদক পাচার ও অস্ত্র পাচার চক্রের অন্যতম পান্ডা ভরত ওরফে সুমিত। কলকাতা পুলিশের এস টি এফ (STF- Special Task Force) টিম অপারেশন চালিয়েছিল পাঞ্জাব পুলিশের হাতে ধৃত এই ভরত কুমারের জবানবন্দির নিরিখেই! কিন্তু, কে এই ভরত কুমার? পাঞ্জাব পুলিশের ডিজিপি দিনকর গুপ্তা জানান, এই গ্যাংস্টার খুন করে পাঞ্জাবের দুই এএসআই’কে। বুধবার তাঁরা গ্রেফতার করে ভরত কুমার নামে এক ব্যক্তিকে। সূত্রের খবর, জয়পালকে লজিস্টিক দিয়ে সাহায্য করত এই ভরত কুমার। সেই পুলিশে বলে দেয় জয়পালের অবস্থান। এই ভরত কুমারই হযে উঠে পুলিশের অপারেশন জ্যাক।

thebengalpost.in
মোস্ট ওয়ান্টেড আসামীরা :