দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ সেপ্টেম্বর: বাবা বিজেপি কর্মী, সেই অপরাধের শাস্তি পেতে হল কলেজ পড়ুয়া ছেলেদেরকে। মদত দিল নিজের জেঠতুতো দাদা! এমনটাই অভিযোগ মেদিনীপুর শহর থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত সদর ব্লকের শিরোমনি অঞ্চলের বিষরা গ্রামে। অভিযোগ, বাবা বিজেপি করেন, তাই বাবাকে না পেয়ে তাঁর দুই কিশোর ছেলেকে মারধর করল তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। দুই ছেলেকেই ভর্তি হতে হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। অভিযোগ অনুযায়ী, বিজেপি কর্মী শ্রীদাম মন্ডলের একটি দোকান তৈরির কাজ চলছিল। তাতেই বাধা দেয় এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। মদত দিয়েছিল শ্রীদাম মন্ডলের নিজের ভাইপো (দাদার ছেলে)। সেই বাধা না মেনে আইনি সহায়তা নেয় ওই পরিবার। এরপর, ১৪৪ ধারা জারি করে বাড়ি তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। সেই অপরাধেই বিজেপি কর্মী শ্রীদাম মন্ডলকে মারধর করতে গিয়েছিল স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। বাড়িতে শ্রীদাম মন্ডলকে না পেয়ে তাঁর দুই ছেলেকে মারধর করে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। আহত দুই ছেলে বর্তমানে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

thebengalpost.in
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন দুই ছেলে :

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীদাম মন্ডল এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। তাঁর দাদা ও দাদার ছেলেরা তৃণমূল করে। তাদেরই মদতে, দোকান ঘর তৈরি করতে বাধা দেওয়া হয় শ্রীদাম-কে। ঘটনা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশ পেয়ে গত শুক্রবার থেকে তাঁরা ফের দোকান তৈরির কাজ শুরু করে। তাতেই ক্ষুব্ধ হয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। চড়াও হয় শ্রীদামের বাড়িতে। শ্রীদাম মন্ডল-কে না পেরে তাঁর দুই ছেলেকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে বসে শ্রীদাম মন্ডলের বড় ছেলে, বছর ২০’র শুভদীপ মন্ডল বলেন, “আমরা দুই ভাই এখানে থাকিনা। বাইরে পড়াশুনা করি। রবিবার আমার জেঠুর ছেলের মদতে আমাকে পুকুরে ডুবিয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। ভাই বাধা দিতে গেলে ওকেও মারধর করা হয়। এমনকি, তৃণমূল নেতৃত্বের চাপে মেদিনীপুর মেডিক্যালেও আমাদের কোন চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না!” বিষয়টি নিয়ে বিজেপির জেলার সহ সভাপতি অরূপ দাস বলেন, “তৃনমূলের ব্লক সভাপতি মুকুল সামন্তের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটেছে। থানায় অভিযোগের পাশাপাশি কোর্টে অভিযোগ জানানো হবে দলের তরফে।” যদিও পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মুকুল সামন্ত বলেন, “এর সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। সরকারি রাস্তার উপর বাড়ি তৈরি করছিলেন জোর করে, স্থানীয় গ্রামবাসীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বাধা দিয়েছে।” তৃণমূলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজয় হাজরা জানিয়েছেন, “তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনের বিষয়ের সঙ্গে কখনোই জড়িত থাকতে পারে না। বিষয়টি অবশ্যই খোঁজ নেব। আইন আইনের পথে চলবে।”