thebengalpost.net
প্রতীকী ও গুগল থেকে সংগৃহীত চিত্র (খবরের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, প্রতীকী হিসেবে ব্যবহৃত):

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৩ ফেব্রুয়ারি: “…তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ!” সুন্দরী রমনীর প্রেমে পড়েছিলেন ট্রেন যাত্রার সময়। একই কামরাতেই যাত্রা করছিলেন। দক্ষিণী সুন্দরীর ‘নয়ন কটাক্ষে’ কাত হয়েছিলেন মেদিনীপুরের (পূর্ব মেদিনীপুরের) যুবক! মুগ্ধ হয়েছিলেন মুচকি হাসিতেও। এভাবেই নাকি কেটে যায় ঘন্টাখানেক। ফোন নম্বর আর নেওয়া হয়নি! এদিকে, যুবতীর গন্তব্য স্টেশন এসে যায়। যুবকের দিকে আড়চোখে তাকিয়ে নেমে যান তিনি। যদিও, যুবকের দাবি, শেষ মুহূর্তে ওই তরুণী তাঁকে ফোন নম্বর দিতে চেয়েছিলেন। বলতে চেয়েছিলেন অনেক কিছুই। কিন্তু, ভিড় ট্রেনে নেমে যাওয়ার তাড়া থাকায়, সম্ভব হয়নি! এদিকে, তারপর থেকেই নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন বিশাখাপত্তনমে একটি সংস্থায় কর্মরত পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির যুবক। চোখ খুললেও সেই মুখ, বন্ধ করলেও সেই মুচকি হাসি! অগ্যতা ভারতীয় রেলের (Indian Railway) দ্বারস্থ হন মেদিনীপুরের যুবক।

thebengalpost.net
প্রতীকী ও গুগল থেকে সংগৃহীত চিত্র (খবরের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, প্রতীকী হিসেবে ব্যবহৃত):

প্রসঙ্গত, মাস তিনেক আগে, নভেম্বর মাসের (২০২৩) এক পড়ন্ত বিকেলে নিজের কর্মস্থল বিশাখাপত্তনম থেকে ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটেছিল কাঁথির ওই যুবকের সঙ্গে। বাড়ি ফিরছিলেন যুবক। তাই তাঁর গন্তব্য স্টেশন ছিল খড়্গপুর জংশন (Kharagpur JN)। কিন্তু, দক্ষিণী সুন্দরী নেমে যান অনেক আগেই। ভাইজাগ স্টেশনে উঠে, তার পরের এক-দু’টি স্টেশনের মধ্যেই যুবতী নেমে যান বলে জানা যায়। কিন্তু, মাঝখানের ওই এক-দেড় ঘন্টার যাত্রাপথেই “প্রেমের জোয়ারে ভাসাবে দোঁহারে…” ঘটে যায়! যদিও, মেদিনীপুরের (পূর্ব মেদিনীপুরের) লাজুক যুবক আসল কাজটাই করে উঠতে পারেননি! নাম-পরিচয়-ফোন নম্বর কিছুই নেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়েই তাই ভারতীয় রেলকে মাসখানেক আগে তিনি আরটিআই (Right to Informatica Act-2005) করেছিলেন। ট্রেন ও স্টেশনের নাম উল্লেখ করে, তথ্যের অধিকার আইন অনুযায়ী যুবক ওই তরুণীর ফোন নম্বর বা বিস্তারিত বিবরণ জানতে চান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে। সম্প্রতি ‘অদ্ভুত’ এই আরটিআই-র উত্তরে রেল জানিয়ে দিয়েছে, এভাবে কারুর ব্যক্তিগত তথ্য তাঁদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়! এদিকে, যে স্টেশন থেকে দক্ষিণের ওই যুবতী ট্রেনে উঠেছিলেন এবং যে স্টেশনে নেমেছিলেন; যুবক গত তিন মাসে সেখানেও নাকি একাধিকবার ছুটে গেছেন, ছুটির দিনগুলিতে। যদি একবার দেখা পান! কিন্তু, আশা-পূরণ হয়নি। অন্যদিকে, রেলও জানিয়ে দিয়েছে নিজেদের বাধ্য-বাধকতা। অগ্যতা তাই ভাগ্যের হাতেই নিজের ‘প্রেম’ সমর্পণ করে, কাজে মন দেওয়ার চেষ্টা করছেন প্রেমের জন্য বিখ্যাত ‘মেদিনীপুর’-র কাঁথির যুবক!