দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ সেপ্টেম্বর: স্তিমিত করোনা পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে বাজার-হাট-রাস্তাঘাট। স্বাভাবিক হচ্ছে বাস স্ট্যান্ডও। তবে, স্টেশন চত্বরগুলি এখনও শুনশান! কারণ, স্টাফ লোকাল ছাড়া রাজ্যে এখনও বন্ধ লোকাল ট্রেন। রিজার্ভেশন ছাড়া টিকিট মিলছেনা এক্সপ্রেস ট্রেনেরও। স্বভাবতই, পরিচিত সেই চাঞ্চল্য-ব্যস্ততা নেই মেদিনীপুর স্টেশন চত্বরেও। স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় থাকা ছোটোখাটো কত দোকানপাট, পেপার স্টল এখন আর নেই! হয়তো সময়ের সাথে সাথে নিজেদের ব্যবসা কিংবা ব্যবসার স্থান পরিবর্তন করে ফেলেছেন। লোকাল ট্রেনের হকারদের অবস্থা তো অবর্ণনীয়! হয়তো আর কিছুদিনের মধ্যেই সব স্বাভাবিক হবে, যদিনা ফের ‘তৃতীয় ঢেউ’ ব্যাগড়া দেয়। এর মধ্যেই মেদিনীপুর স্টেশনেও যেটুকু ভিড় বা ব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেল, তা শুধু রিজার্ভেশন কাউন্টারেই! কারণ দূর-দূরান্ত তো বটেই, কোনো জরুরি কাজে সামান্য হাওড়া বা পাঁশকুড়া যেতে চাইলেও রিজার্ভেশন করাতে হচ্ছে। অপরদিকে, ছুটি থাকায় এবং ধীরে ধীরে বিভিন্ন পর্যটনস্থল স্বাভাবিক হতে শুরু করায়, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং সরকারি কর্মচারীরা ভিড় জমাচ্ছেন রিজার্ভেশন করিয়ে ঘুরতে যাবেন বলে। অনেকেই কনফার্ম টিকিট পাচ্ছেন, অনেকেই ওয়েটিং, আবার অনেককেই মন খারাপ করে ফিরে যেতে হচ্ছে!

thebengalpost.net
শুনশান মেদিনীপুর স্টেশন‌ চত্বর :

এদিকে, রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, স্টাফ লোকালের জন্য টিকেট পাচ্ছেন পুলিশ, আদালত ও স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা। সর্বসাধারণের জন্য রিজার্ভেশন সহ এক্সপ্রেস ট্রেনই ভরসা! তবে, মেদিনীপুর স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, এই স্টেশন থেকে আপ লাইনের দিকে (গড়বেতা অভিমুখে) যাওয়ার জন্য তিনটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে রিজার্ভেশন ছাড়াই। এই তিনটি ট্রেন হল যথাক্রমে- ১. খড়্গপুর – রাঁচি (সকাল ৫ টা ১৫ মিনিটে মেদিনীপুর স্টেশন থেকে ছাড়ে)। ২. খড়্গপুর – আসানসোল (সকাল ৬ টা ৫০ মিনিটে মেদিনীপুর স্টেশন থেকে ছাড়ে)। এবং ৩. খড়্গপুর – গোমো (দুপুর ২ টা ৫৩ মিনিটে মেদিনীপুর স্টেশন থেকে ছাড়ে)। এছাড়াও, খড়্গপুর স্টেশন থেকে আরও কয়েকটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন আছে, যেগুলিতে রিজার্ভেশন ছাড়া যাত্রা করা যাচ্ছে আপাতত।

thebengalpost.net
বিনা রিজার্ভেশনেও টিকিট পাওয়া যাচ্ছে তিনটি ট্রেনের :