তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১০ মে: আজ (বুধবার)-ই নিজেদের ‘বাল্যবিবাহ’ রুখে দেওয়া জেলার তিন ‘সাহসিনী’-কে সংবর্ধিত করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী। দুপুরে নিজের কার্যালয়ে তিনি যখন স্কুল পড়ুয়া ওই ছাত্রীদের পুরস্কৃত করছেন, ঠিক তখনই জেলার অন্য প্রান্তে ফের এক নাবালিকার বিয়ে ঘিরে সাজো সাজো রব। এমনকি, গায়ে হলুদও সারা হয়ে যায় ১৭ বছরের ওই নাবালিকার! তবে, তার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই অবশ্য সব আয়োজন ভেস্তে দেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। জানা যায়, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের তাতারপুর গ্রামের বাসিন্দা সন্টু মন্ডল পেশায় একজন কৃষক। বুধবার তাঁর মেয়ের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। ১৮ বছর হতে মেয়ের নাকি ২-৩ মাস মাত্র বাকি ছিল! তাতে কি, প্রশাসনের কাছে খবর ছিল, নাবালিকা মেয়ের বিয়ে। আর তাই, সরকারি নিয়ম মেনে বিয়ে বাড়ি বন্ধ করতে সমস্ত ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয় ঘাটাল মহকুমা প্রশাসনের তরফে।

thebengalpost.net
বিয়ে বাড়ি রুখল প্রশাসন:

স্বয়ং ঘাটাল মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাসের নির্দেশে, চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সহ চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ আধিকারিকরা বুধবার দুপুরে পৌঁছে যান নাবালিকার বাড়িতে। সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখে জানা য়ায়, নাবালিকার ‘সাবালিকা’ হতে এখনও দুই মাস বাকি! সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাই নাবালিকার বিয়ের বন্ধ করলেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। ওই নাবালিকার পরিবারের সকল সদস্যকে বুঝিয়ে, তাঁদের দিয়ে ‘মুচলেকা’ লিখিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন আধিকারিকরা। পরিবারের সদস্যদের প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে, নাবালিকার বিয়ের ব্যবস্থা করলে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। তবে, সাবালিকা হওয়ার পর বিয়ের ব্যবস্থা করলে প্রশাসনের কোন আপত্তি নেই! সেজন্য, অপেক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাঁদের।