দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ এপ্রিল: প্রাচীন পুকুর খনন করার সময় উঠে এলো এক প্রাচীন যুগের মূর্তি। আর, এই মূর্তিকে কেন্দ্র করেই গ্রামবাসীদের মধ্যে তীব্র উন্মাদনার সৃষ্টি হয়। শনিবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে জেলা শহর মেদিনীপুরের উপকন্ঠে ভাদুতলা সংলগ্ন শালবনী ব্লকের কুতুরিয়া এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী থানার পুলিশ এসে মূর্তিটি উদ্ধার করে নিয়ে যেতে চান। তবে, পুলিশকে রীতিমতো বাধা দিয়ে শঙ্খ-ঘন্টা-কাশর-ঢাক-ঢোল বাজিয়ে প্রাচীন যুগের সেই মূর্তিটিকে গ্রামের শীতলা মন্দিরে নিয়ে যান এলাকাবাসী। এই মুহূর্তে ঘটনা ঘিরে জেলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য।
প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেল নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের ১০ নম্বর কর্ণগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের কুতুরিয়া গ্রাম লাগোয়া একটি পুকুরে জেসিবি মেশিন দিয়ে খননকার্য চলার সময় প্রাচীন ওই মূর্তিটি উঠে আসে। যদিও, এলাকাবাসীর বক্তব্য আরও একটি মূর্তি ছিল। তা তলিয়ে গেছে! একটি তাঁরা উদ্ধার করতে পেরেছেন। এরপরই দ্রুত এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শালবনী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাঁরা মূর্তিটি উদ্ধার করে নিয়ে যেতে চান। বাধা দেন এলাকাবাসী। তাঁরা বলেন, “আমাদের গ্রামে এই মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। আমরা নতুন মন্দির তৈরি করে পুজো করবো।” এরপরই, ঢাক-ঢোল-শঙ্খ-ঘন্টা-কাশর বাজিয়ে তাঁরা সেই মূর্তি গ্রাম লাগোয়া শীতলা মন্দিরে নিয়ে যান। যদিও, পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এটি প্রাচীনকালের মূর্তি নাও হতে পারে। তাঁদের বক্তব্য, মূর্তিটি ধাতব নয়, কাঠের তৈরি। প্রাচীনকালের হলে তা এতদিনে নষ্ট হয়ে যেত! তবে, গ্রামবাসীরা তা মানতে রাজি নন। তাঁরা আপাতত শ্রদ্ধা ও ভক্তির সাথে মূর্তিটিকে মন্দিরে স্থান দিয়েছেন। নতুন করে মন্দির নির্মাণের ভাবনাচিন্তাও শুরু করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই, ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।