দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ জুন: বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পরই, সৌজন্যের নজির স্থাপন করে প্রতিদ্বন্দী নিকটবর্তী পরাজিত প্রার্থী বিজেপির শমিত দাসের বাড়িতে ফুল ও মিষ্টি নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। শমিত’কে দিয়ে এসেছিলেন, “ভাইফোঁটা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও”! মেদিনীপুরের সেই অনন্যা “বিধায়িকা” জুন মালিয়া করোনা পরিস্থিতিতেও মানবিকতার বার্তা দিয়ে ছুটে চলেছেন এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। আর, এবার মানবিকতা আর সৌজন্য দুইই ফুটে উঠলো তাঁর আন্তরিক উদ্যোগে। গত ২৬ শে মে (২০২১) করোনা পরবর্তী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত শালবনীর জনপ্রিয় লোকশিল্পী ও সমাজকর্মী বিশ্বজিৎ মাহাতো’র বাড়িতে গিয়ে তাঁর নাবালক পুত্রের সঙ্গে দেখা করলেন এবং পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিলেন। প্রসঙ্গত, মাত্র ১০ বছর বয়সেই বাবা বিশ্বজিৎ এবং তারও ৫ বছর আগে মা’কে হারিয়েছে ওই বালক। এই মুহূর্তে, জেঠু-জেঠিমারাই তার অভিভাবক। তাই, নাবালকের পড়াশোনা সহ সবকিছুই যখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল, সেই সময় বিধায়ক ও শাসকদলের নেতৃত্বের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে তাদের ভরসা জোগাবে। শুধু লোকশিল্পী হিসেবে নয়, একজন সমাজকর্মী হিসেবেও এলাকায় জনপ্রিয় বিশ্বজিৎ মাহাত এবার মেদিনীপুর বিধানসভা আসনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন। সেই হিসেবে প্রয়াত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী’র প্রতি জুনের এই সম্মান ও সৌজন্য প্রদর্শন নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন জেলার সচেতন নাগরিকরা।

thebengalpost.in
বিশ্বজিৎ মাহাতোর বাড়িতে মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া :

মাত্র ৪৭ বছর বয়সেই প্রয়াত হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। বুধবার তাঁর শালবনীর ভাতমোড়ের বাড়িতে গিয়ে সহমর্মিতা ও মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন জুন। এদিন, তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শালবনী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নেপাল সিংহ, পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বুলবুল হাজরা মহাশয়, অঞ্চল তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি হরমন সিং সহ অন্যান্যরা। জুন বললেন, “বিশ্বজিৎ নেই। তাঁর স্ত্রী’ও বছর পাঁচেক আগে প্রয়াত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে, ওর নাবালক পুত্র ও অসহায় পরিবারের কথা যখন শালবনী ব্লক নেতৃত্বের তরফে আমাকে জানানো হয়, তখনই আমি রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। নেতৃত্বের তরফে এবং এলাকার বিধায়ক হিসেবে আমিও ওদের পরিবারের পাশে আছি, এই বার্তা দিতেই আজ পৌঁছে গিয়েছিলাম।”