শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ সেপ্টেম্বর: ঘুমের মধ্যেই বিষাক্ত সাপের কামড়ে মৃত্যু হল একাদশ শ্রেণীর ছাত্রের! শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার অন্তর্গত ‘বসন্তপুর ঝাড়েশ্বর বাণী ভবন’ স্কুলের হোস্টেলে। মৃত ছাত্রের নাম কার্তিক মুর্মু। ঘটনা ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে জেলা জুড়ে! জানা যায়, শুক্রবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর তিন বন্ধু মশারি টাঙিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। ঘুমের মধ্যেই একাদশ শ্রেণীর ছাত্র কার্তিকের কানে কামড় দেয় বিষাক্ত ‘কলাচ’ (বিষধর সাপ, প্রাথমিক অনুমান কালাচ)! এরপরই শুরু হয় বমি ও অসহ্য পেটের যন্ত্রণা। দ্রুত তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সবং গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তাকে অ্যান্টিভেনাম সিরাম (এভিএস) দেওয়া হয়। তবে, অবস্থার অবনতি হলে কার্তিককে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই গভীর রাতে তার মৃত্যু হয়!
ঘটনা ঘিরে শনিবার উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। স্কুলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে পথ অবরোধ করে কার্তিকের সহপাঠী তথা ছাত্রছাত্রীরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কার্তিকের বাড়ি নারায়ণগড় থানা এলাকায়। দরিদ্র পরিবারের কার্তিক সবং ব্লকের বসন্তপুর ঝাড়েশ্বর বানী ভবনের হোস্টেলে থেকেই পড়াশোনা করত। অন্যান্য দিনের মতোই এদিনও তিন বন্ধু একটি খাটে মশারি টাঙিয়ে শুয়েছিল। কোনভাবে একটি বিষাক্ত সাপ মশারির কাছাকাছি এসে গিয়েছিল বলে অনুমান। সেই সাপই কার্তিকের কানে ছোবল মারে! বিষাক্ত সাপটি ‘কালাচ’ ছিল বলে প্রাথমিক অনুমান। চিকিৎসকেরা প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি! এদিকে, স্কুলের হোস্টেলে এইভাবে সাপ প্রবেশ করা নিয়ে, ক্ষুব্ধ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। শনিবার স্কুলের সামনে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রছাত্রীরা। পরে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আজ, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ওই ছাত্রের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।