দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ মার্চ: পুরী থেকে পাণ্ডবেশ্বরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল সুবিশাল এক টুরিস্ট বাস। ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ফিরছিল বাসটি। হঠাৎই ভোর তিনটা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড় থানার বাঁধগোড়া এলাকায় একটি চলন্ত ট্রাকের পেছনে ধাক্কা মারে বাসটি। প্রবল ঝাঁকুনিতে সব যেন তালগোল পাকিয়ে যায় ঘুমের মধ্যে থাকা যাত্রীদের! বাসে ছিলেন শিশু, মহিলা সহ ৭৬ জন। তৎপরতার সাথে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং নারায়ণগড় থানার পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে। আহত হন ২০ জন। তাঁদের মকরামপুর গ্রামীণ হাসপাতাল এবং বেলদা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। আঘাত বেশি থাকায় ৯ জনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয় বলে জানা গেছে পুলিশ সূত্রে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২ জনের আঘাত বেশ গুরুতর। বাকি ৭ জন স্থিতিশীল।

thebengalpost.net
১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে:

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):

জানা যায়, পুরী থেকে একটি টুরিস্ট বাস ৭৬ জন যাত্রী নিয়ে দুর্গাপুরের দিকে যাচ্ছিল। তাঁদের গন্তব্যস্থল ছিল পাণ্ডবেশ্বর। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তাঁরা পুরী গিয়েছিলেন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। ফিরছিলেন অনেক সুখস্মৃতি নিয়ে। যাত্রীরা সকলেই প্রায় ঘুমিয়ে গিয়েছিলেন। হঠাৎই এই দুর্ঘটনা! তবে, তৎপরতার সাথে তাঁদের উদ্ধার করে নারায়ণগড় থানার পুলিশ। সহযোগিতা করে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। বাসে ছিলেন বিজয় রুইদাস নামে এক যুবক। তিনি জানান, “আমরা সকলেই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। কিভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে বুঝতে পারছি না!” তিনি এও বলেন, বাসটিতে থাকা অধিকাংশ পর্যটকদের বাড়ি বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর থানা এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক অনুমান, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বা চালকের চোখেও ঘুম লেগে যাওয়ার ফলে চলন্ত ট্রাকের পেছনে সজরে ধাক্কা মারে বাসটি! আর তাতেই এই দুর্ঘটনা।