তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ জানুয়ারি:এলাকাবাসীর আশঙ্কাই যেন সত্যি হল! নদী ধসে তলিয়ে যেতে বসেছে প্রায় ২৫ টি মতো দোকান ঘর। বাদ গেল না প্রাচীন লক্ষ্মী মন্দির। যেকোনো মুহূর্তে ধস আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা! সেক্ষেত্রে আরো কিছু দোকান-বাড়ি তলিয়ে যেতে পারে। চরম আতঙ্কের প্রহর গুনছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ২ নং ব্লকের খুকুড়দহ গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্মী বাজার কমিটির দোকানদারেরা। জানা যায়, কয়েক মাস আগেই সেচ দপ্তর দূর্বাচটি নদী খননের কাজ শুরু করেছিল। আর, এই দূর্বাচটি নদী লাগোয়া বাঁধের উপর বহু দোকানদার বছরের পর বছর ধরে দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। সেই সময় এলাকাবাসী দাবি করেছিলেন যে, নদী খনন অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হচ্ছে! নদী যে পরিমাণে গভীর করা হচ্ছে, তার ফলে নদী লাগোয়া যে সমস্ত দোকানগুলো আছে, সেগুলি যেকোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে পারে। সেই আশঙ্কাই যেন সত্যি হতে চলেছে!
কিছুদিন আগে বর্ষার সময়ও একটা চরম আতঙ্কে ছিলেন এই সমস্ত দোকানদারেরা। ফের এই শীতের সময় হঠাৎ অকাল বৃষ্টি আর এই বৃষ্টিতে মাটি নরম হতেই দেখা দিয়েছে বিরাট ধস। প্রায় ২৫ টি’র মতো দোকান নদীর দিকে ঝুঁকে পড়েছে! যে কোন মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে নদীতে। পাড় লাগোয়া কংক্রিটের যে সমস্ত দোকান-বাড়িগুলি ছিল, সেখানেও দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। এমনকি কংক্রিটের বড় লক্ষ্মী মন্দিরের মাঝ বরাবর ফাটল দেখা দিয়েছে! আর, এই ফাটল থেকে যেকোনো মুহূর্তে বাড়িগুলি ধসে পড়লে জনবহুল এলাকায় যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা! যদিও বাজার কমিটি থেকে শুরু করে দোকানদারদের দাবি, তাদের দীর্ঘদিনের সমস্যার কথা তারা বারেবারে প্রশাসনকে লিখিত আকারে জানিয়েছে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত প্রশাসন উদাসীন। কোনো গুরুত্বই দিচ্ছে না এই সমস্ত দোকানদারদের বিষয়ে। তাঁরা চাইছেন দ্রুত প্রশাসন তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক। না হলে, তাঁদের আগামী দিনগুলি কি করে চলবে! কারণ, দোকানের উপরেই তাঁদের জীবিকা নির্বাহ হত। এখন দেখার প্রশাসন কবে এই সমস্ত দোকানদারদের কথা ভাবে।