দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ২৩ সেপ্টেম্বর: গত ৫ বছর ধরে আদালতের দরজায় দরজায় ঘুরেও ন্যায্য অধিকার পাননি! অবশেষে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কলমের এক আঁচড়ে চাকরি পেলেন বঞ্চিত ১৮৫ জন টেট পাস (Primary TET 2014) এবং প্রশিক্ষিত (2016 সালের মধ্যে D.El.Ed ট্রেনিং প্রাপ্ত) প্রার্থী। ১৮৭ জন ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। ২ জনের নথি সংক্রান্ত সমস্যা থাকায়, পর্ষদ পুনরায় আদালতের দ্বারস্থ হবে তাদের বিষয় নিয়ে। তবে, ১৮৫ জন চাকরি পেয়েছেন। পুজোর আগেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ মেনে, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চাকরিপ্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট জেলা সংসদ অফিসে (DPSC) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে নিয়োগপত্র। স্বাভাবিকভাবেই, দীর্ঘ ৫-৬ বছরের বঞ্চনা শেষে, প্রাথমিক শিক্ষক হতে পারায় খুশি সোহম রায় চৌধুরী, বনলতা সমাদ্দার, সন্দীপ পাত্র’রা।
উল্লেখ্য যে, এই চাকরিপ্রার্থীরা প্রশ্ন ভুল মামলায় সর্বাধিক ৬ নম্বর পেয়ে টেট পাস করেছিলেন। তবে, তাঁরা সকলেই ২০১৬ সালের মধ্যে ডি.এল.এড ট্রেনিং সম্পূর্ণ (সেই নিয়োগে বি.এড ট্রেনিং-কে মান্যতা দেওয়া হয়নি) করেছিলেন। যেহেতু ২০১৬ সালের ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (৪২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া) ডি.এল.এড প্রশিক্ষিত সকলেই চাকরি পেয়েছিলেন এবং তার পর অন্তত ২৫-৩০ হাজার প্রশিক্ষণহীন’রাও চাকরি পেয়েছিলেন। তাই, তখনই যদি এই প্রার্থীরাও পাস করতেন, তবে তাঁদের চাকরি সেই সময় নিশ্চিত ছিল। এই বিবেচনা করেই আদালত এই ধরনের ১৮৭ জন প্রার্থীকে অবিলম্বে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয়, কারণ পর্ষদের ভুলেই (৬-টি প্রশ্ন বা উত্তর ভুল ছিল) তাঁরা পাস করতে পারেননি! যদিও, নথি সংক্রান্ত সমস্যা থাকায় ২ জন চাকরি পাননি আপাতত। এদিকে, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে নতুন করে প্রাথমিক টেট (Primary TET) নেওয়া হবে বলে পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে। ১১ ডিসেম্বর বা ১৮ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। আজ, শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর), বিকেল ৫ টায় অ্যাডহক কমিটির বৈঠক শেষে সঠিক তারিখ ও পরীক্ষার সেন্টার সম্পর্কে জানা যেতে পারে। আনুমানিক শূন্যপদ ২০-২৫ হাজার বলে জানা গেছে। যদিও, নতুন বছরে (২০২৩) নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা হলে, প্রকৃত শূন্যপদ বোঝা যাবে। এই পরীক্ষা বা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বি.এড প্রশিক্ষিতরা অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা, তা জানা যাবে আগামী ১২ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর।