দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ জুন: একদা মাও অধ্যুষিত জঙ্গলমহলের পিড়াকাটাতে এবার হাতেনাতে পাকড়াও হল দুই ডাকাত! দু’জনই খড়্গপুর গ্রামীন এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তাদের সঙ্গী আরও ৪ জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে শালবনী থানার পুলিশ। এদিকে, ধৃত দুই দুষ্কৃতীর চার দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে মেদিনীপুর আদালত। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের দ্রুত পাকড়াও করা হবে বলে আশাবাদী পুলিশ। ঘটনা ঘিরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহল শালবনীর পিড়াকাটা এলাকায় বেশ শোরগোল পড়ে গেলেও, পুলিশের এই সাফল্যে খুশি এলাকাবাসী।

thebengalpost.net
বড়সড় সাফল্য শালবনী থানার পুলিশের:

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোররাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের পিড়াকাটাতে অবস্থিত একমাত্র পেট্রোল পাম্পে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয় ৬ জন দুষ্কৃতী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, যৌথভাবে অভিযান চালায় শালবনী থানা এবং পিড়াকাটা ফাঁড়ির পুলিশ বাহিনী। তবে, পুলিশের গতিবিধি বুঝতে পেরেই পালিয়ে যায় ৪ দুষ্কৃতী। ২ জনকে রীতিমতো পিছু ধাওয়া করে পাকড়াও করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে মেলে ছুরি, ভোজালি সহ বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত দুই দুষ্কৃতীর নাম হল যথাক্রমে- শেখ আফসর এবং শেখ সাত্তার। দু’জনেরই বাড়ি খড়্গপুর গ্রামীণের ধুলিয়াপোতা এলাকায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। শনিবার ধৃত দু’জনকে মেদিনীপুর আদালতে পাঠানো হলে দুজনেরই চার দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছেন বিচারক। এদিকে, ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে জেলায়। এই ঘটনায় জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি মহঃ সাইফুলের অভিযোগ, “ওরা সব ধুলিয়াপোতা এলাকার দাগী আসামী। শাসকদলের হয়ে দুষ্কৃতীমূলক কাজকর্ম করে বিভিন্ন জায়গায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও ওরা মাঠে নেমে পড়েছিল। তবে, পুলিশকে ধন্যবাদ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। আশা করব বাকিরাও দ্রুত গ্রেপ্তার হবে।” এদিকে, বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সন্দীপ সিংহ জানিয়েছেন, “বিরোধীরা এখন সবকিছুতেই তৃণমূল ভূত দেখছে। ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর সঙ্গেও রাজনীতিকে মিশিয়ে দিচ্ছে কংগ্রেস সহ বিরোধীরা। বলার কিছু নেই! শুধু এটুকুই বলব পুলিশ প্রশাসন তৎপর আছে। আমাদের জঙ্গলমহল সহ জেলা জুড়ে তাই কোথাও কোন অশান্তির খবর নেই। বিরোধীরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারে। মনোনয়নের মতোই নির্বিঘ্নে নির্বাচন হবে এবং সাধারণ মানুষের ভোটে বিরোধীরা আবারও পর্যদুস্ত হবে।”