দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ মে: আর পাঁচটা দিনের মতোই কলেজের ক্লাস শেষ করে নিজের সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন গোয়ালতোড় কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী বাসন্তী গড়াই। বাড়ির প্রায় কাছাকাছি পৌঁছেও গিয়েছিলেন। তবে, নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাসে বাড়ি ফেরা হলোনা শালবনী ব্লকের বাবুইবাসা গ্রামের বছর ২০’র ছাত্রীর! গোয়ালতোড়-পিড়াকাটা রাজ্য সড়কের উপর তুঁতবাড়ি (ঠাকুরথান) এলাকায় হঠাৎই একটি মারুতি (ওমনিই) গাড়ি মুখোমুখি ধাক্কা মারে বাসন্তীকে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন বাসন্তী! শনিবার দুপুর ২-টো নাগাদ ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক এই পথ দুর্ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। আটকানো হয় ওই মারুতি গাড়িটিকে। সেই গাড়িতে করেই প্রথমে নিকটবর্তী কেওয়াকোল গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানো হয় বাসন্তী-কে। অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক হওয়ায়, দ্রুত রেফার করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যালে। বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ সেখানেই মৃত্যু হয় বাসন্তী’র!

thebengalpost.net
ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হল মেদিনীপুর মেডিক্যালে:

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই মারুতি গাড়িটি পিড়াকাটার দিক থেকে গোয়ালতোড়ের দিকে যাচ্ছিল। গোয়ালতোড় কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী বাসন্তী কলেজের ক্লাস শেষে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি (পিড়াকাটার দিকে) ফিরছিল। গোয়ালতোড় থেকে কিছুটা দূরে তুঁতবাড়ি (ঠাকুরথান) এলাকায় রাজ্য সড়কের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মারুতি গাড়িটি মুখোমুখি ধাক্কা মারে বাসন্তীকে। আর, তাতেই সব শেষ! মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শুরুর আগেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা যায় হাসপাতাল সূত্রে। তবে, ঘাতক ওই গাড়িতে করেই বাসন্তীকে নিয়ে আসা হয়েছিল মেদনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতাল থেকেই পুলিশ ওই গাড়ি এবং চালককে আটক করেন। রবিবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গোয়ালতোড় থানা। এদিকে, কলেজ ছাত্রী বাসন্তীর এই অকাল মৃত্যুতে পরিবার-পরিজন সহ এলাকাবাসীরা শোকে মুহ্যমান!