দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ জুলাই: আসনটি মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় এসে গিয়েছিল সুযোগ। আর, প্রথম সুযোগেই বাজিমাত! পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের সম্ভাব্য কনিষ্ঠতম প্রার্থী ধরা হচ্ছে তাঁকে। বছর ২২’র সেই সুস্মিতা দোলই প্রথমবার নির্বাচনী-যুদ্ধে নেমেই বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। শালবনীর ৪ নং বাঁকিবাঁধ অঞ্চলের নীচ-কমলা (বা, নীচু-কমলা) গ্রাম পঞ্চায়েত আসন থেকে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন কমলা গ্রামের এক নিম্নবিত্ত পরিবারের গৃহবধূ সুস্মিতা।

thebengalpost.net
সুস্মিতা দোলই:

প্রসঙ্গত, ২০১৮-র নির্বাচনে শালবনী ব্লকের ৪নং বাঁকিবাঁধ অঞ্চল (গ্রাম পঞ্চায়েত) এর কমলা গ্রাম পঞ্চায়েত আসন থেকে জয়ী হয়ে ওই অঞ্চলের (গ্রাম পঞ্চায়েতের) প্রধান হয়েছিলেন কৌশিক দোলই। এবার, কমলা গ্রাম পঞ্চায়েত আসনটি দুই ভাগে ভেঙে গিয়েছে; যথাক্রমে- উপর কমলা ও নীচ কমলা নামে। বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্য তথা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কৌশিক দোলই উপর কমলা আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন। নীচ কমলা আসনটি মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় প্রার্থী করা হয়েছে সুস্মিতা-কে। জেলার তথা এই ব্লকের অন্যতম কনিষ্ঠ প্রার্থী সুস্মিতা। শালবনী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নেপাল সিংহ অবশ্য জানান, “শুধু সুস্মিতা নয়, এবার ২১-২২ বছরের বেশ কয়েকজনকে প্রার্থী করা হয়েছে শালবনীতে।” অন্যদিকে, শালবনী ব্লকের ৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার মধ্যেই একটি নীচ কমলা। এই আসনে বিজেপি, বাম সহ বিরোধীরা কোন প্রার্থী দিতে পারেনি। সুস্মিতা অবশ্য জানান, “এলাকায় উন্নয়নমূলক সমস্ত কাজই হয়েছে। এলাকার প্রত্যেকটি মানুষ দিদির তথা মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সামাজিক প্রকল্পের সুবিধাও পেয়েছেন। তাই, বিজেপির তরফে প্রথমে প্রার্থী দেওয়ার কথা ভাবা হলেও, পরে তারা সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসে বলেই জানি।” সুস্মিতা এও জানান, স্বামী সহ পরিবারের সদস্যদের সম্মতিতে এবং দলীয় নেতৃত্বের ইচ্ছেতেই তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন। আগামী পাঁচ বছর এলাকাবাসীদের পাশে থাকা এবং উন্নয়নমূলক বাকি কাজগুলি সম্পন্ন করাই তাঁর লক্ষ্য।

thebengalpost.net
নিজের বাড়িতে সুস্মিতা :