দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ আগস্ট: দুর্যোগ কেটে গেলেও দুর্ভোগ এখনও কাটেনি! প্রশাসন যেখানে পৌঁছতে পারছেনা সেখানেই পৌঁছে যাচ্ছেন ওরা। জলমগ্ন ঘাটাল বাসীর কাছে “পাশে আছি” বার্তা নিয়ে, গত ২-৩ ধরে জেলা শহর মেদিনীপুর কিংবা জঙ্গলমহল শালবনীর বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পৌঁছে গিয়েছিল সাধ্যমত ত্রাণসামগ্রী নিয়ে। ঘাটাল বাসীর সুহৃদ তথা মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাসের আবেদনে সাড়া দিয়ে শালবনীর “ছত্রছায়া” গ্রুপ পৌঁছে গিয়েছিল মঙ্গলবার। ঘাটালের বন্যা কবলিত সুলতানপুর গ্রামের অসহায় পরিবারগুলির কাছে পৌঁছে দেওয়া হলো শুকনো খাবার সহ নানা সামগ্রী। ওই দিনই সমাজকর্মী মণিকাঞ্চন রায়ের উদ্যোগছ মেদিনীপুরের আরও কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ঘাঠালে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করলো। ‘মানবিক সংস্থা’, Udaan People’s Foundation এবং West Midnapore Cyclers Club প্রভৃতি সংগঠনগুলি সঠিক করোনা বিধি মেনে ২৪০ টি পরিবারের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেয়। প্রতিটি সংগঠন-কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস।

thebengalpost.in
দুয়ারে ত্রাণ নিয়ে ‘ছত্রছায়া’ সহ বিভিন্ন সংগঠন :

thebengalpost.in
মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাসের সঙ্গে :

অন্যদিকে, মেদিনীপুরের “অপরাজেয়” স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘাটাল মহাকুমার চন্দ্রকোনা ২ নং ব্লকের অন্তর্গত পলাশচাবড়ীর ভালুককুণ্ডু, বেলগেড়িয়া ও বড় আকনা এলাকায় করোনা কালীন সময়ে কাজ হারানো দুঃস্থ পরিবারের হাতে মাস্ক, খাদ্যসামগ্রী ও বাড়ির ছেলে মেয়েদের জন্য শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় বুধবার। এছাড়াও, এলাকার প্রতিবন্ধী মানুষদের হাতে ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। প্রায় ১০০ টি পরিবারের হাতে সংগঠনের পক্ষ থেকে মাস্ক এবং বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী (যেমন- চিড়া, চিনি, বিস্কুট, সুজি, ডাল, হলুদ গুঁড়ো , লবন) ও শিক্ষাসামগ্রী (খাতা, কলম, পেনসিল, ইরেজার, শার্পনার ,রং পেনসিল, আঠা প্রভৃতি) তুলে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই এলাকার জলবন্দি মানুষজনের হাতে “অপরাজেয়” তুলে দিয়ে এসেছে খাদ্যসামগ্রী। ধারাবাহিকভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মেদিনীপুরের ‘অপরাজেয়’ ক্রমেই হয়ে উঠছে সমাজসেবায় এক অদ্বিতীয় সংগঠন।

thebengalpost.in
ঘাটাল মহকুমায় ‘অপরাজেয়’ :