দ্য বেঙ্গল পোস্ট বিশেষ প্রতিবেদন, অমৃতা দত্ত, ৮ আগস্ট: ২২ শে শ্রাবণ- শুধু বাংলা ও বাঙালি নয় সমগ্র দেশবাসীর কাছেই এক বিশেষ দিন। রবীন্দ্র প্রেমী বিশ্ববাসীর কাছেও। চিরন্তন আবেগ আর ঐতিহ্যের বার্তা বয়ে আনে এই দিন। হ্যাঁ, ২২ শে শ্রাবণ ‘বিশ্বকবি’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস। তাই, শুধু পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতবর্ষ নয়, বাংলাদেশ বা শ্রীলঙ্কা নয়; সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেই এদিনে ধ্বনিত হয় রবীন্দ্র সংগীত- ‘কবিগুরু’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংগীত। ২০২০ টোকিও অলিম্পিক্সের শেষ দিনেও টোকিও’র আকাশে বাতাসে ভেসে উঠল বিশ্ববন্দিত ‘কবিগুরু’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীত- “জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে…”। হ্যাঁ, ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীত তথা অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই রবীন্দ্র সংগীতের সুর যখন ভেসে উঠছে টোকিয়োর ন্যাশনাল অলিম্পিক্স স্টেডিয়ামে, টোকিও’র ঘড়িতে তখন ৮ ই আগস্ট, বাংলা তারিখ অনুযায়ী ২২ শে শ্রাবণ! সময়ের হিসেবে ভারতের থেকে জাপান প্রায় ঘন্টা চারেক এগিয়ে থাকায়, ‘ইতিহাস’ তৈরি হল ২২ শে শ্রাবণের সন্ধিক্ষণেই। আর, প্রতিটি বাঙালি তথা ভারতবাসীর শরীর-মন তখন শিহরিত, আবেগে উত্তাল। সৌজন্যে- ১২১ বছরের ‘না-পাওয়ার’ ইতিহাস চূর্ণ বিচূর্ণ করে নতুন এক “স্বর্ণালী ইতিহাস” সৃষ্টিকারী ভারতমাতার ‘সোনার ছেলে’ নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)।

thebengalpost.in
নীরজ চোপড়া :

১২১ বছর পর, অলিম্পিক্সের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডস থেকে “পদক” এলো ভারতের ঝুলিতে। ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের আগেই “স্বর্ণালী ইতিহাস” রচিত হলো নীরজ চোপড়ার হাত ধরে। এরপরই, টোকিয়োর ন্যাশনাল অলিম্পিক্স স্টেডিয়ামে ভারতের পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং বাজানো হয় ভারতের জাতীয় সঙ্গীত। পোডিয়ামের উপরে তখন সোনার ছেলে নীরজ। তাঁর চোখেও জল! আবেগ আর আনন্দে আবছা হয়ে আসছে সবকিছু। কোটি কোটি ভারতবাসী-র হৃদস্পন্দন যেন স্তব্ধ হয়ে আসছে! ঐতিহাসিক সেই মুহূর্ত পেরিয়েই খুশির বাঁধ ভেঙে গেল। ভারতবাসীর হৃদয় জুড়ে তখন শুধুই- “জয় হে জয় হে জয় হে জয় জয় জয় জয় হে….!”

thebengalpost.in
সেই সোনার মুহূর্ত :