দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ ফেব্রুয়ারি: বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে জেলা শহর মেদিনীপুরের শ্রী অরবিন্দ স্টেডিয়ামে প্রাথমিকের ৪২তম জেলা বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার শুভ সূচনা হল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ (District Primary School Council) এর উদ্যোগে দুই দিন ব্যাপী জেলা স্তরীয় এই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হল মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে। উদ্বোধন করলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জলসম্পদ উন্নয়ন এবং ক্রেতা, সুরক্ষা ও উপভোক্তা দপ্তরের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া এবং ক্রেতা, সুরক্ষা ও উপভোক্তা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত। তার আগে শহর পরিক্রমা করল বিভিন্ন ট্যাবলো সহযোগে একটি সুসজ্জিত শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রার এক্কেবারে সামনে মশাল হাতে হাঁটলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ‘গর্ব’ শালবনীর (পিড়াকাটা সংলগ্ন লালেরডিহির বাসিন্দা) দৌড়বিদ অনুপম মাহাত।
উল্লেখ্য যে, সদ্য মিনি ম্যারাথন চ্যাম্পিয়ন অনুপমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের পক্ষ থেকে। অপরদিকে, এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দুই মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অজিত মাইতি, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) তথা সংসদের (DPSC) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রাণতোষ মাইতি, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মামণি মাণ্ডি, প্রাক্তন বিধায়ক গীতা ভুঁইয়া এবং শাসকদলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি অনিমেষ দে সহ শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সর্বোপরি ছিলেন, সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক (AI), অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক (SI) এবং জেলার বিশিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকা বৃন্দ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মহকুমা স্তরে সফল প্রাথমিকের পড়ুয়ারা জেলা স্তরের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছে। তিনটি মহকুমার (মেদিনীপুর সদর, ঘাটাল ও খড়্গপুর) প্রায় ৪৫০ জন প্রতিযোগী আগামীকাল (৮ ফেব্রুয়ারি) ৩৪টি ইভেন্টে অংশ নিতে চলছে। প্রতিটি ইভেন্টের প্রথম স্থানাধিকারীরা রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। এছাড়াও, মহকুমা স্তরে সফল শিক্ষক-শিক্ষিকারাও তাঁদের জন্য নির্ধারিত দু’টি ইভেন্টে অংশ নেবেন। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করে মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত জানিয়েছেন, “আমি আশাবাদী খেলার মাঠ থেকেই কচিকাচাদের মধ্যে সমাজপ্রেম ও দেশপ্রেম গড়ে উঠবে।” ক্যাবিনেট মন্ত্রী ডাঃ মানস রঞ্জন ভুঁইয়া বলেন, “আমাদের সরকার শিক্ষা ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে। ক্রীড়াবিদদের প্রতি নানাভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ভবিষ্যতেও এই প্রচেষ্টা বজায় থাকবে।”