দ্য বেঙ্গল পোস্ট বিশেষ প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭ জুন: অপেক্ষার আর ২৬ দিন! আগামী ২৩ শে জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে টোকিও অলিম্পিক- ২০২০ (Summer Olympics 2020)। চলবে ৮ ই আগস্ট পর্যন্ত। এবার আর ত্রিপুরার দীপা কর্মকার নয়, জিমন্যাস্টিক বিভাগে ১৩০ কোটির স্বপ্নের পতাকাটি যিনি বহন করতে চলেছেন তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার প্রণতি নায়েক। জঙ্গলমহলের জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের ২৬ বছরের (জ: ১৯৯৫ এর ৬ এপ্রিল) তরুণী’ই কোটি কোটি ভারতবাসীর স্বপ্ন নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বেন জাপানের টোকিওতে। ২০১৯ সালে এশিয়ান জিমনাস্টিক চাম্পিয়ানে ব্রোঞ্জ পদক জিতে জেলা, রাজ্য ও দেশকে গর্বিত করেছিলেন প্রণতি। এবার, মহাদেশীয় কোটা বা কন্টিনেন্টাল কোটাতে প্রণতি অলিম্পিকের ছাড়পত্র পেয়েছে মে মাসের শুরুতেই। কলকাতায় এই মুহূর্তে চলছে তার কঠোর অনুশীলন। অন্যদিকে, স্বপ্নের রূপকথা এঁকে চলছে তাঁর পিংলার গ্রাম।
প্রসঙ্গত, দীপা কর্মকার এবার যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ না পেলেও, মহাদেশীয় কোটাতে সুযোগ পেয়ে আপ্লুত প্রণতি জানিয়েছিলেন, “২০১৯-এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে যোগ্যতা মান অর্জন করতে না পারায় প্রচণ্ড হতাশ হয়েছিলাম। অতিমারির কারণে একের পর এক প্রতিযোগিতা বাতিল হওয়ায় কোনওদিন ভাবিনি অলিম্পিক্সে যাওয়ার স্বপ্ন এভাবে পূরণ হবে!” এও জানিয়েছিলেন, “বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ বিমে খুব ভাল একটা ছন্দ দেখাতে পারিনি। হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু, অতিমারির সময়ে কোনও প্রতিযোগিতা না থাকলেও নিজেকে ফিট রেখেছি। আগামী কয়েক সপ্তাহ আরও বেশি পরিশ্রম করে অলিম্পিক্সে ভাল ফল করার চেষ্টা করব।” অন্যদিকে, তাঁর মা প্রতিমা নায়েক শনিবার পিংলার বাড়িতে বসে জানালেন, “ছোট বেলা থেকেই লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে বেড়াত প্রণতি। সেই প্রণতি আজ কোটি কোটি ভারতবাসীর স্বপ্ন নিয়ে অলিম্পিকে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে, এ যেন আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো। আশা করব, ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।” ইতিমধ্যেই জিমনাস্টিকে দেশ-বিদেশের বহু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে একাধিক পদক জিতে নিয়েছে প্রণতি। কিন্তু, ছোট থেকেই অলিম্পিকে অংশগ্রহন করার স্বপ্ন দেখতো প্রণতি। এবার সেই স্বপ্ন তার পূরণ হয়েছে। এবার, প্রণতি সারা দেশের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে কিনা সেদিকেই তাকিয়ে পিংলা তথা পশ্চিম মেদিনীপুর!