দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ আগস্ট: “পড়াশোনা যখন করছিসনা, আমাদের সঙ্গে কাজে চল”! টিউশন না যাওয়ার কারণে, বাবা-মা এই সামান্য বকুনি দিয়ে কাজে চলে গিয়েছিলেন! সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী প্রতিমা সিং (১৩) সেই অভিমানেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করল। সোমবার এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ী ব্লকের গগনেশ্বর অঞ্চলের তালবাগ গ্রামে।

thebengalpost.in
অভিমানে আত্মঘাতী কিশোরী :

জানা গেছে, স্থানীয় পারুলিয়া এমএসকে তে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ত প্রতিমা। বয়স মাত্র ১৩। প্রতিমার দাদা অমর সিং জানিয়েছেন, “আজ সকালে ও টিউশন যায়নি। সেজন্যই কাকু-কাকিমা আজ সকালে কাজে যাওয়ার আগে বলে, তোর যখন পড়াশোনা করার ইচ্ছে নেই, আমাদের সঙ্গে এবার থেকে মাঠে গিয়ে কাজ করবি!” এরকমই বকাবকি করে কাজে চলে যান তাঁরা। এরপরই বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে, ঘরের দরজা লাগিয়ে গলায় দড়ি লাগিয়ে ঝুলে পড়ে সে! বাড়ির দুই মেয়ের মধ্যে ছোট মেয়ে ছিল প্রতিমা। দিদিও তখন বাইরে ছিল। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর দরজা লাগানো দেখে সন্দেহ হয় বাড়ির সদস্যদের। খবর দেওয়া হয় বাবা-মা’কেও! দরজা ভেঙে কিশোরী’র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন! ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ।

এদিকে, এই ধরনের সামান্য বকাবকির জন্য আত্মহত্যার ঘটনায়, “লকডাউন” বা “স্কুল বন্ধ” থাকার কু-প্রভাব দেখছেন শিক্ষাবিদ এবং মনোবিদরা। তাঁদের মতে, “ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা বিদ্যালয়ে গেলে তাদের মন অনেক ভালো থাকে। সহজ সুন্দর জীবন যাপন করে। বাড়িতে থেকে থেকে একঘেয়েমির প্রভাব পড়ছে। সঙ্গে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন থেকে তারা বেরিয়ে যাচ্ছে। তাতেই সামান্য কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে।”

thebengalpost.in
চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করলেন !