দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ জুলাই: ভয়াবহ বজ্রপাতে মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে একই অঞ্চলে কয়েক কিলোমিটারের ব্যবধানে পরপর মৃত্যু হল দুই ব্যক্তির। মৃত্যু হয়েছে দু’টি গবাদি পশুরও। শুক্রবার বিকেলে মর্মান্তিক ঘটনা দু’টি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের লালগেড়িয়া অঞ্চলের (পিড়াকাটা সংলগ্ন) যথাক্রমে সাবলি ও লালগেড়িয়াতে। শালবনী থানার অধীন পিড়াকাটা পুলিশ পোস্ট সূত্রে শুক্রবার সন্ধ্যায় গেছে, মৃত দুই ব্যক্তির নাম যথাক্রমে- ডাক্তার সরেন এবং জগন্নাথ মাহাত। বছর ৫৯’র ডাক্তার সরেন-কে সন্ধ্যা নাগাদ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অপরদিকে, বছর ৬৫’র জগন্নাথ মাহাত-কে শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকেও মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার তাঁদের দু’জনেরই ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
পুলিশ সূত্রে এও জানা গেছে, ডাক্তার সরেন নামে সাবলি এলাকার ওই কৃষক শুক্রবার বিকেলে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরই তাঁর দুটি গবাদি পশু সঙ্গে নিয়ে মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তবে, বাড়ি পৌঁছানোর ঠিক আগেই ভয়ঙ্কর বজ্রপাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যু হয় তাঁর সঙ্গে থাকা দু’টি গবাদি পশুরও। ঠিক কয়েক কিলোমিটার দূরে লালগেড়িয়া এলাকাতেও মাঠে কাজ করার সময় মৃত্যু হয় জগন্নাথ মাহাত নামে বছর ৬৫’র অপর এক কৃষকের। ঘটনা ঘিরে ওই এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। অন্যদিকে, শুক্রবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ বাড়ির উঠোনে কাজ করার সময় ভয়াবহ বজ্রপাতে আহত হন মেদিনীপুর সদর ব্লকের হরিশপুরের এক মহিলা। সন্ধ্যা নগদ তাঁকেও নিয়ে আসা হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কল্পনা পাতর নামে বছর ৪০’র ওই মহিলার শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলের পরই বৃষ্টির সঙ্গে ভয়াবহ বজ্রপাতের তাণ্ডব লক্ষ্য করা গোটা জেলা জুড়ে। তারই মর্মান্তিক পরিণতি, এই দুই কৃষকের মৃত্যুর ঘটনা! এদিকে আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক দিন ধরেই দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ দক্ষিনবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ হালকা থেকে মাঝারি কিংবা ভারী বৃষ্টিপাত চলবে।