দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ জুলাই: ফের হাতির হানায় মৃত্যু হল জঙ্গলমহলে! বৃহস্পতিবার ভোররাতে বছর ২৮-এর যুবক অজিত মাহাত’র মৃতদেহ উদ্ধার হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী থানার বেলাশোল গ্রাম থেকে। পিড়াকাটা ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছে। তবে, ঘটনা ঘিরে একদিকে যেমন শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়, ঠিক তেমনই বনদপ্তরের বিরুদ্ধে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ! এলাকাবাসীর মতে, বনদপ্তরের উদাসীনতাতেই বারবার জঙ্গল সংলগ্ন এলাকাগুলিতে হানা দিচ্ছে হাতি। এছাড়াও, চাকরি-বঞ্চনা নিয়েও ক্ষোভ আছে এলাকাবাসীর মধ্যে।

thebengalpost.net
মৃত যুবক অজিত মাহাত :

পুলিশ সূত্রে জানা জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে কোনও কারণে আমজোড় গ্রামের বাসিন্দা অজিত মাহাত (বাবার নাম সুনীল মাহাত) পার্শ্ববর্তী বেলাশোল গ্রামের দিকে গিয়েছিলেন। সেই সময় জঙ্গল সংলগ্ন রাস্তাতে হঠাৎই হাতির সামনে পড়ে যান তিনি! হাতির হানায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে পিড়াকাটা ফাঁড়ির পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। উল্লেখ্য যে, বনদফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী বুধবার পর্যন্ত মেদিনীপুর বনবিভাগে রয়েছে ৪ টি হাতি। এদিকে, হাতির হানায় মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এলাকার প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য তথা কিষাণ ক্ষেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের শালবনী ব্লক সভাপতি সনৎ মাহাত জানিয়েছেন, “বেশ কয়েকদিন ধরেই বুনো হাতি হাতিলোট, লক্ষণপুর, বেলাশোল সহ পাশাপাশি গ্রামগুলিতে রাত হলেই ঢুকে পড়ছে খাবারের সন্ধানে বাড়িঘর ভেঙে ঢুকে পড়ছে। সব খবর জানা সত্ত্বেও বনবিভাগ উদাসীন। এদিকে, হাতির আক্রমণে মৃত পরিবারগুলির যে চাকরিরর কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষনা করেছিলেন, তাও বিশ বাঁও জলে। ২০২১ এর ১ মার্চ ৭৩৯ নাম্বার মেমোতে চাকরি র জন্য যে ৫০ জনের তালিকা মেদিনীপুর বনবিভাগ পাঠিয়েছিল, সেই তালিকার সিংহভাগ পরিবার এখনো চাকরি পায়নি! তারপরেও এই ধরনের মৃত্যুর ঘটনা বেড়েই চলেছে। উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বনদপ্তরের পক্ষ থেকে।”