thebengalpost.net
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ:

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ৯ ফেব্রুয়ারি: কোনো সন্দেহ নেই, বেনজির দুর্নীতি হয়েছিল এস এস সি (SSC)’র মাধ্যমে বিদ্যালয়ের গ্রুপ-ডি নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে গত কয়েক মাস ধরে। এর আগে, ২৫ জনের বেতন বন্ধ করা হয়েছিল। তারপর মামলা গিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চে। তদন্তের জন্য গড়ে দেওয়া হয়েছিল কমিটি। ফের মামলা হয় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চে। বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ সেই মামলাতেই নির্দেশ দিয়েছে, নিয়ম না মেনে যে ৫৭৩ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে তাঁদের বরখাস্ত করতে হবে। এছাড়াও, এখনও পর্যন্ত তাঁরা যে বেতন পেয়েছেন তা ‘সুদসহ’ উদ্ধার করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (DI)-কে। ওই নিয়োগে ‘বেনজির’ দুর্নীতি হয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের।

thebengalpost.net
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ:

এদিকে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের কমিটিকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী সুদীপ্ত সেনগুপ্ত বলেন, “আদালতের পর্যবেক্ষণ, এ ক্ষেত্রে আকাশছোঁয়া দুর্নীতি হয়েছে। জনগণের টাকা থেকে এ রকম দুর্নীতি হতে পারে না। তাই বেতন ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মাসেই গ্রূপ ডি নিয়োগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় খারিজ করে দিয়ে আদালত জানিয়ে দিয়েছিল যে, এই নিয়োগে ঠিক কোন ধরণের অনিয়ম হয়েছে তা অনুসন্ধানের জন্য CBI-কে ডাকার প্রয়োজন নেই। বরং, এই ব্যাপারে প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের নেতৃত্বে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গড়ার বিষয়ে সায় দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। সেইমত, আদালত জানিয়ে দেয় যে, ওই তদন্তকারী দলই এই নিয়োগের পূৰ্ণাঙ্গ তদন্ত করবে। সেই অনুযায়ী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের নজরদারিতে তৈরি হয় এই বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল। SSC-র পক্ষে অনুসন্ধানকারী দলে ছিলেন আশুতোষ ঘোষ সহ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সহ-সচিব(প্রশাসন) পারমিতা রায়। এছাড়াও, ওই দলে ছিলেন হাইকোর্টের আইনজীবী অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায়।