দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ জুন: দুপুর থেকেই চলছিল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Vidyasagar University) নবীন বরণ অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা নাগাদ মঞ্চে ওঠেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়েরই ‘প্রাক্তনী’, এই মুহূর্তের অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী অনিন্দিতা চন্দ (Anindita Chanda)। তাঁর অনুষ্ঠান চলাকালীনই রাত্রি সাড়ে আটটা-ন’টা থেকে শুরু হয় TMCP-র দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ। কোনোমতে অনুষ্ঠান শেষ করে রাত্রি ৯-টা নাগাদ মঞ্চ থেকে নেমে যান তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরেই নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছে। যা চরমে পৌঁছয় বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাতে অনুষ্ঠান চলাকালীন। দু’পক্ষের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা, ধস্তাধস্তি থেকে মারামারি, আহত হয়ে বেশ কয়েকজনের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া- সবকিছুই হল বৃহস্পতিবার রাতে। তবে, সবথেকে লজ্জার যে অনুষ্ঠানের মূল শিল্পী ইমন সেন (Iman Sen) গ্রিন রুমে পৌঁছে গিয়েও মঞ্চে উঠতে পারলেন না! বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর বহিরাগত ছাত্রদের হামলার প্রতিবাদে মাঝপথেই বন্ধ করে দিতে হয় অনুষ্ঠান। মেদিনীপুর থেকে তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে যেত হয় কলকাতার বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ইমনকেও! গোষ্ঠী-সংঘর্ষে আহত পড়ুয়াদের মধ্যে দুই ছাত্রী সহ ৪ জনকে রাত্রি সাড়ে ১০টা-১১টা নাগাদ ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
নবীন বরণ অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে থাকা চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র আকাশ মণ্ডল সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ পড়ুয়াদের অভিযোগের তীর বহিরাগত একদল ছাত্রের বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ, “বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন নিরাপত্তা বলে কিছু নেই! আমি একটি হোস্টেল ইউনিটের প্রেসিডেন্ট। দেবার্ঘ্য বলে একজন অপর হোস্টেল ইউনিটের প্রেসিডেন্ট। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আমাদের দু’জনকেই মার খেতে হয়। সুরজিৎ দাস নামে এক দাদা (শুনেছি PhD করে) দেবার্ঘ্য-কে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করে। লাথিও মারে। থামাতে গিয়ে আমাকেও মার খেতে হয়। ওদের জন্যই আজ (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেল! আমরা ওদের কঠোর শাস্তির দাবিতে অনড়! আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার দাবি করছি।” সূত্রের খবর, বছরখানেক আগেও বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় গোষ্ঠী বিবাদ বা অশান্তি ছিল না! সম্প্রতি, কয়েক মাস হল বহিরাগত কিছু ছাত্রের নেতৃত্বে বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলা বা নিগ্রহের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ। হোস্টেলেও হামলা চালানো হয়েছে কয়েকদিন আগে।
এনিয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছেনা অভিযোগ তুলে ক্ষোভ ফুঁসছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন সিএবি-র জেলা প্রতিনিধি তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুজয় হাজরা। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা শোনার পর তাঁর প্রতিক্রিয়া, “নিন্দা জানানোর ভাষা নেই! এটা ঠিক ছাত্রদের অনুষ্ঠানে মাঝেমধ্যে একটু-আধটু গন্ডগোল হয়। কিন্তু, যেভাবে কয়েকজন ছাত্রকে মারধর করা হয়েছে বা অনুষ্ঠান মাঝপথে বন্ধ করে দিতে হয়েছে, তাতে কর্তৃপক্ষের উচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত ছাত্রদের হামলার বিষয়টি নিয়ে আমরাও দলীয়ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করব। আমাদের গর্বের এই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের অশান্তি বা ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলা আমরা মেদিনীপুরবাসী হিসেবেও বরদাস্ত করবোনা।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ আগস্ট: আধুনিক যুগের বিজ্ঞান থেকে সনাতন সংস্কৃতি, যোগব্যয়াম-খেলাধুলার…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ আগস্ট: নতুন কারখানায় অবিলম্বে কাজ শুরু করতে পারবেন…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ আগস্ট: SIR-এর নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল। এই ইস্যুতে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, মেদিনীপুর, ২৯ জুলাই: মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাত্রি ঠিক ৯টা ৩১ মিনিট…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ জুলাই: স্কুল ড্রেস পরেই বেরিয়েছিল বাড়ি থেকে। তবে,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭ জুলাই: "৩ বছর আগে আলুর দাম ছিল ৩টাকা…