দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ সেপ্টেম্বর: একে দুর্যোগ বলা উচিৎ নাকি দৈব দুর্বিপাক? বুঝতে পারছেন না মেদিনীপুরবাসী! যেভাবে বানভাসি দুই মেদিনীপুরেরর বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন থাকতে থাকতেই, ফের একের পর এক নিম্নচাপ আঘাত হানছে, তাতে রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, সবং, পিংলা, ডেবরা, নারায়ণগড়, খাকুড়দা, দাঁতন, মোহনপুর থেকে শুরু পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা, ময়না, পটাশপুর, ভগবানপুর সহ বিভিন্ন এলাকা। প্রকৃতির বা নিয়তির এই নিষ্ঠুর পরিহাসে আজ বড় অসহায় এইসব এলাকার মানুষ! সোমবারের পর মঙ্গলবারও রাতভর বৃষ্টি হল পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে। ফলে, ইতিমধ্যে প্লাবিত ও জলমগ্ন ঘাটাল, সবং, পিংলা কিংবা পটাশপুর, ভগবানপুরের লক্ষ লক্ষ মানুষের যে দুর্বিসহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তা অবর্ণনীয়! সঙ্গে, জেলা শহর মেদিনীপুর এবং তৎসংলগ্ন সদর ব্লক, শালবনী ব্লক থেকে শুরু করে রেলশহর খড়্গপুর, নিস্তার নেই কারুরই। হাজার হাজার বাড়ি ভেঙে পড়ছে। দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হচ্ছে। একটার পর একটা বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে! এর মধ্যেই, বুধবারও বিপর্যয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে।

thebengalpost.net
অসহায় চিত্র মেদিনীপুরের সবং এলাকার মানুষের (ছবি- সংগৃহীত) :

সোমবার ও মঙ্গলবার কলকাতা, হাওড়া,‌ হুগলি, দুই ২৪ পরগণা ভাসিয়ে দিয়ে নিম্নচাপ এখন আরও শক্তিশালী হয়ে পশ্চিমে সরে গেছে! এর ফলে, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম প্রভৃতি জেলায় সোমবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত মঙ্গলবার সারা দিন অঝোর ধারায় ঝরে পড়ার পর, রাত থেকে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে পতিত হচ্ছে। সঙ্গে গুরু গুরু মেঘের গুমরি গুমরি আওয়াজ! আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে আজ, বুধবারের জন্য কমলা সতর্কতা (Orange) জারি করা হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম এবং দুই বর্ধমানে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এদিকে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত এই ঘূর্ণাবর্ত ক্রমশ উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে ওড়িশা উপকূলে আসবে। এর প্রভাবে, আগামী শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর), রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে ফের ওড়িশা ও সংলগ্ন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে নতুন করে বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা থাকছে।

thebengalpost.net
প্রকৃতির কোপে অসহায় প্রাণীরাও : (ছবি- ফেসবুক)