দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ আগস্ট:রাতভর ভয়াবহ তাণ্ডব দেখিয়ে গভীর নিম্নচাপ সাত সকালেই পৌঁছে গেছে দক্ষিণ ঝাড়খণ্ড ও উত্তর ওড়িশা উপকূলে। তাই, সংলগ্ন ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলায় হালকা ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হলেও; দুই মেদিনীপুরের বিপদ অনেকটাই কেটেছে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন। তবে, দীঘা উপকূলে হালকা বৃষ্টি ও ৪০-৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, শুক্রবার দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে বৃষ্টির লাল সতর্কতা (Red Alert) এবং ঝড়ের যথাক্রমে কমলা ও হলুদ সতর্কতা (Orange & Yellow Alert) জারি করা হয়েছিল।

thebengalpost.net
আবহাওয়া দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি:

বাস্তবে দেখা গেল, পূর্বাভাসের থেকে অনেক বেশি ঝড়ের তাণ্ডব দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুর তথা দীঘা-কাঁথি উপকূলে। ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস এবং ‘কমলা সতর্কতা’ জারি করা হলেও, দেখা যায় কিছু কিছু এলাকায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগেও ঝড় বয়ে গেছে। এই সব এলাকায় ‘লাল সতর্কতা’র প্রয়োজন ছিল বলে এলাকাবাসীদের দাবি। অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে বৃষ্টির লাল সতর্কতা থাকলেও, ঝড়ের হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। দেখা যায়, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বালিচক থেকে পশ্চিমে ডেবরা, কেশপুর, মেদিনীপুর সদর, খড়্গপুর, শালবনী, ক্ষীরপাই, দাসপুর এলাকায় ঝড়ের তাণ্ডব ছিল ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে! এই এলাকাতেও‌ যে লাল সতর্কতা’র প্রয়োজন ছিল তা মানছেন প্রশাসনের আধিকারিকরাও। বিশেষত, রাত্রি ১০ টা থেকে রাত্রি ২ টা-আড়াইটা অবধি যে ভয়াবহ তাণ্ডব লক্ষ্য করা গেছে, অনেকেরই আমফান (Umpun) স্মৃতি মনে পড়েছে!

এই মুহূর্তে, দক্ষিণ ঝাড়খণ্ড এবং উত্তর উড়িষ্যা উপকূলে গভীর নিম্নচাপ হয়ে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। বিকেল অবধি সেখানে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তার প্রভাবেই দক্ষিণবঙ্গ তথা জঙ্গলমহল এলাকায় বিকেল অবধি মেঘলা আকাশ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। বিকেলের পর থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে বলেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। শনিবার বৃষ্টি ও ঝড়ের হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া-তেও। অন্যদিকে, আজ সারাদিন মৎস্যজীবীদের জন্য লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে উপকূলীয় এলাকায়।

thebengalpost.net
ঝড়ের তাণ্ডব: