দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ৫ ডিসেম্বর:দু-এক হাজার নয়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ২১ হাজার নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে! এর মধ্যে, ৯ হাজার OMR কারচুপির প্রমাণ ইতিমধ্যে CBI এর হাতে এসেছে এবং তা স্কুল সার্ভিস কমিশনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সোমবার প্রকাশ করলেন বাছাই করা CBI অফিসারদের নিয়ে গঠিত সিট (SIT) প্রধান অশ্বিন শেনভি। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু’র এজলাসে গ্রুপ-ডি নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় উপস্থিত হয়ে এমনই বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরলেন নবনিযুক্ত সিট প্রধান। সোমবার আদালতে উপস্থিত হয়ে সিট প্রধান বলেন, “এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে প্রায় ২১ হাজার পদে দুর্নীতি হয়েছে। তার মধ্যে ৯ হাজার ওএমআর সিট (OMR Sheet) ‘বিকৃত’ করা হয়েছে। মূল প্যানেল থেকে ওয়েটিং লিস্ট, সর্বত্র দুর্নীতি হয়েছে!”

thebengalpost.net
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu):

এরপরই, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু মন্তব্য করেন, “আমি অবাক হচ্ছি। তদন্তে আপনাদের যা সাহায্য লাগবে আদালতে এসে জানাবেন। আদালত সব রকম সাহায্য করবে। এই দুর্নীতির শেষ দেখা দরকার। যারা এই দুর্নীতিতে যুক্ত তাঁদের কাউকে ছাড়া হবে না।” সঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রতি তাঁর নির্দেশ, “জল থেকে কাদা সরিয়ে জলটাকে স্বচ্ছ করুন।” তিনি এও বলেন, “যে যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁরা শুধু ফলাফলের আশায় বসে আছেন । তাঁরা জানতে চায়না, সিবিআই কী করল, স্কুল সার্ভিস কমিশন কী করল! তাঁরা চান নিয়োগপত্র। এই দুর্নীতির তদন্ত-বিচার অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছে। এবার তদন্ত-বিচার তার লক্ষ্যের কাছে পৌঁছে গিয়েছে।” প্রসঙ্গত এদিন, গ্রুপ-ডি নিয়োগ সংক্রান্ত একটি দুর্নীতির মামলায় বিচারপতি বসু উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন সিট প্রধান শেনভি’কে। তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে এই বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরলেন অবশেষে। তাঁর মতে, “গত বছরের নভেম্বর (২০২১-এর নভেম্বর) থেকে শুধুমাত্র ব়্যাংক জাম্পিং এর অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছিল৷ কিন্তু, সম্প্রতি গাজিয়াবাদ থেকে হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হওয়ার পর ওএমআর কারচুপির বিষয়টি সামনে এসেছে। এরপরই তদন্ত অন্য মাত্রা পায়। আমরা সব নথি এসএসসিকে দিয়েছি। এখন তাদের ঠিক করতে হবে যে তারা কীভাবে এই ত্রুটি সংশোধন করবে।”

thebengalpost.net
সিট প্রধান অশ্বিন শেনভি :