দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ আগস্ট: এর আগে দু’টি মুখ, চারটি চোখ নিয়ে জন্ম নিয়েছে বাছুর। এবার মাথা বা মুখ একটি হলেও, তিনটি চোখ যুক্ত বিরল-দর্শন এক বাছুরের জন্ম হলো পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকের মোহাড় গ্রামে। মঙ্গলবার বিকেলের এই ঘটনা ঘিরে স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই গ্রামে।

thebengalpost.net
সেই বিরল-দর্শন বাছুর:

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):

যদিও, এই বিষয়ে ‘সঠিক’ ব্যাখ্যা দিয়েছেন জেলার পশু চিকিৎসক এবং প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিকরা। জেলার প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর চিন্ময় চক্রবর্তী বলেন, “এটা একধরনের কগনিজেটাল অ্যাবনর্মালিটি (congenital abnormality) বা জন্মগত ত্রুটি। ঠিক যে কারণে দু’টি মুখ নিয়ে জন্ম নেয় বাছুর সহ বিভিন্ন প্রাণী, এটাও ঠিক তেমনই।” বিশিষ্ট পশু চিকিৎসক তথা দাঁতন ১নং ব্লকের ভেটেনারি অফিসার জয়দেব গোস্বামী বলেন, “এটা অবশ্যই জন্মগত ত্রটি বা কগনিজেটাল অ্যাবনর্মালিটি। টুইনস বা যমজ বাচ্চা হওয়ার কথা থাকলেও, কোনো কারণে একটি বাচ্চা নিলে এমনটা হয়ে থাকে। একে ‘বাইসেফালাস’ (bicephalous) বলা হয়।” কিন্তু, কেন হয় এমনটা? ডঃ গোস্বামী বলেন, “এই ধরনের জন্মগত ত্রুটির পেছনে তিনটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমটি হলো, জেনেটিক ফ্যাক্টর। দ্বিতীয়, গর্ভাবস্থায় মা (গাভী) যদি বোভাইন ভাইরাল ডায়রিয়া (bovine viral diarrhea)-তে আক্রান্ত হয়। আর তৃতীয় কারণ হলো, সন্তানসম্ভবা গাভী যদি টেরাটোজেনিক কেমিক্যাল বা টেরাটোজেনিক রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসে। এর মধ্যে যেকোনো একটি ঘটলেই এই ধরনের জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে।” আর এই ধরনের বাছুর বা শাবকরা যে বেশি দিন বাঁচেনা, তাও জানিয়েছেন পশু চিকিৎসক জয়দেব গোস্বামী। তিনি বলেন, “কয়েকদিন থেকে কয়েক মাসের মধ্যেই এরা মারা যায়।” তবে, সবংয়ের মোহাড়ের এই ঘটনায় বাছুরটি আপাতত সুস্থ আছে বলেই জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।