দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৪ সেপ্টেম্বর: পুজোর আগেই সুখবর! মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক (বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক) চালু করল ইউপিআই (UPI) পরিষেবা। উপকৃত হবেন এই ব্যাঙ্কের প্রায় ৬ লক্ষ গ্রাহক। বলাই বাহুল্য, এই গ্রাহকদের বেশিরভাগ অংশই হলেন প্রান্তিক কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ফলে পুজো উপলক্ষে তাঁরা খুব সহজেই মোবাইলের মাধ্যমে তথা ইউপিআই পরিষেবার মাধ্যমে কেনাকাটা বা আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন। শুক্রবার দুপুরে ব্যাঙ্কের সভাকক্ষে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই পরিষেবার উদ্বোধন হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য কো-অপারেটিভ সোসাইটির রেজিস্ট্রার নিরঞ্জন কুমার, অতিরিক্ত জেলাশাসক (কো-অপারেশন) ড. গোবিন্দ হালদার, অ্যাডিশনাল আরসিএস তথা ব্যাঙ্কের স্পেশাল অফিসার পার্থ বসু, ডেপুটি আরসিএস তথা ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্যানেজার হিরজ মাইতি প্রমুখ।

উল্লেখ্য, কৃষক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান ও অন্যান্য আর্থিক পরিষেবা প্রদান করে থাকে সমবায় ব্যাঙ্ক। ঠিক এই উদ্দেশ্যেই প্রায় একশো বছর আগে পথচলা শুরু করে অখন্ড মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক। ধীরে ধীরে তার ব্যাপ্তি ও পরিধি বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে, মেদিনীপুর শহরে অবস্থিত বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক (বা, বিদ্যাসাগর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক)-এর ৩৮টি শাখায় প্রায় ৬ লক্ষ গ্রাহক (কাস্টমার)। বিগত কয়েক দশক ধরেই দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের কয়েক লক্ষ কৃষক, ব্যবসায়ী থেকে শিক্ষক ও সরকারি কর্মচারীদের আর্থিক লেনদেন ও ঋণ গ্রহণের এক গুরুত্বপূর্ণ আস্থার জায়গা হয়ে উঠেছে এই ব্যাঙ্ক। সময়ের হাত ধরেই এই ব্যাঙ্ক একসময় চালু করে এটিএম পরিষেবা। গত ২-৩ বছর আগে চালু হয় মোবাইল ব্যাঙ্কিংও। গ্রাহকদের দাবিকে স্বীকৃতি দিয়ে এবার চালু হলো ইউপিআই পরিষেবাও। নিরঞ্জন কুমার বলেন, “এর ফলে মোবাইলের মাধ্যমে সহজেই আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন গ্রাহকরা। এতে ব্যাঙ্কের গ্রাহক সংখ্যাও আরও বাড়বে।” পার্থ বসু ও নিরঞ্জন কুমার বলেন, “ব্যাঙ্কিং পরিষেবার ক্ষেত্রে বিদ্যাসাগর সমবায় ব্যাঙ্ক এখন দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের কয়েক লক্ষ গ্রাহকের আস্থার প্রধান জায়গা হয়ে উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষও তাঁদের উন্নত ও আধুনিক পরিষেবা দিতে বদ্ধপরিকর। এই ইউপিআই পরিষেবা চালু হওয়ার ফলে একদিকে যেমন গ্রাহকরা উপকৃত হবেন, ঠিক তেমনই খুব সহজেই আর্থিক লেনদেনের ফলে ব্যাঙ্কেরও শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে।”