দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ঝাড়গ্রাম, ১৪ জুন: মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই হাতির হানায় মৃত ব্যক্তির পুত্রের হাতে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিয়ে নজির সৃষ্টি করল রাজ্য ও জেলা প্রশাসন। স্বয়ং বন প্রতিমন্ত্রী দিলেন চাকরির প্রতিশ্রুতি। রবিবার সকালে ঝাড়গ্রামে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছিল এক বৃদ্ধের। সেই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকার বাসিন্দারা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান দুপুরের দিকে। বিকেলেই মৃতের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী তথা ঝাড়গ্রামের বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদা। মৃতের ছেলে দীপক মাহাতোর হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন তিনি। সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতিও দিলেন। বীরবাহা বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়েছে মৃতের পরিবারের হাতে। তাছাড়া, ওই পরিবারের একজনের চাকরির ব্যবস্থাও করা হবে। জঙ্গলে হাতি রয়েছে, বাসিন্দাদের সতর্ক করতে বন দফতরের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়। জঙ্গলে যেতে নিষেধও করা হয়। অনেক জায়গায় হাতিকে উত্যক্ত করার ঘটনার খবরও আসছে। বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। এগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হাতির গতিবিধির উপরেও নজরদারি চালানো হচ্ছে।”

thebengalpost.in
ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিলেন বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা :

প্রসঙ্গত, ঝাড়গ্রাম জেলার শালবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের বরিয়া গ্রামের বাসিন্দা পাড়ু মাহাতো রবিবার সকালে সাইকেল করে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই হঠাৎ করে হাতির একটি দলের সামনে পড়ে যান তিনি। পালানোর চেষ্টা করলেও একটি হাতি তাঁকে তাড়া করে ধরে ফেলে ও শুঁড়ে করে তুলে আছাড় মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর! এর পরই উত্তেজিত গ্রামবাসীরা কলাবনির কাছে ৫ নম্বর রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশের হস্তক্ষেপে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে। এরপর মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে, বিকেল নাগাদ স্বয়ং বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা পৌঁছে যান মৃতের বাড়িতে। তুলে দেন ক্ষতিপূরণের চেক এবং দেন সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি। বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় ১৩ টি হাতি রয়েছে।