দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ ফেব্রুয়ারি: জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া প্রভৃতি এলাকায় হতির হানায় মৃত্যু যেন এক ‘স্বাভাবিক-ঘটনা’-য় রূপান্তরিত হচ্ছে ক্রমেই! কোন পথে এর সঠিক সমাধান সম্ভব, তা বলতে পারছেনা বনদপ্তর থেকে পুলিশ-প্রশাসন কেউই। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে পাশাপাশি দু’টি গ্রামে (কালিবাসা ও নোনাশোল) পর পর দুই কৃষকের মৃত্যু হয় দলছুট ৪-টি দাঁতালের ভয়াবহ আক্রমণে! মৃত দু’জন হলেন যথাক্রমে টুকেশ্বর মান্ডি (৪৯) এবং ভাস্কর কিস্কু (৩৬)। দু’জনই নিজেদের ফসল (আলু) রক্ষা করার জন্য হাতি তাড়াতে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। কিন্তু, পেছন থেকে বা উল্টো দিক থেকে ছুটে আসা ৪টি দলছুট দাঁতালের তাণ্ডবে তাঁদের মৃত্যু হয়!

thebengalpost.net
বৃহস্পতিবার সকালে মিরগা, ধানঘোরি এলাকায়:

প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যার পর মাত্র তিন ঘন্টার ব্যবধানে এই চারটি দলছুট দাঁতালের তাণ্ডবে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। দু’টি ঘটনাই ঘটেছে মেদিনীপুর বনবিভাগের ভাদুতলা রেঞ্জের মৌপাল বিটে। মৌপাল বিটের অধীন শালবনী ব্লকের পাশাপাশি দু’টি গ্রাম, যথাক্রমে কালিবাসা ও নোনাশোলে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬-টা ও রাত্রি সাড়ে ৯-টায় মর্মান্তিক এই ঘটনা দু’টি ঘটে। কালিবাসা গ্রামের বাসিন্দা টুকেশ্বর মান্ডি বাড়ির পাশেই আলু জমিতে হাতির হামলায় প্রাণ হারান! নোনাশোলের বাসিন্দা ভাস্কর কিস্কুর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। দু’জনকেই উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দুই ক্ষেত্রেই ঘাতক মৌপাল বিটের ৪-টি দলছুট দাঁতাল! বনদপ্তরের তরফে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিশ্চিত করার সাথে সাথেই, পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার বিষয়েও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, হাতির হামলা থেকে জঙ্গলমহলবাসীর প্রাণ রক্ষার বিষয়ে ‘আশ্বস্ত’ করতে পারেননি কেউই!