thebengalpost.net
প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে হল শুনানি:

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ২৯ এপ্রিল: সব পক্ষের বক্তব্য না শুনে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের উপর কোনও স্থগিতাদেশ (স্টে অর্ডার) দিতে চাইলেন না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ‘বিশেষ’ ডিভিশন বেঞ্চের ১৪টি নির্দেশের (রায়ের) মধ্যে শুধুমাত্র একটি নির্দেশের উপরই সোমবার (২৯ এপ্রিল) স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপারনিউমারারি পোস্ট সংক্রান্ত সিবিআই তদন্তের উপর দেওয়া হয়েছে স্থগিতাদেশ। উল্লেখ্য যে, বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এই সংক্রান্ত নির্দেশ ছিল, সুপারনিউমারারি পোস্ট তৈরী করে অযোগ্যদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের ক্যাবিনেট মিটিংয়ে বা মন্ত্রীসভার তরফে। তাই, সিবিআই এই সংক্রান্ত তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে এবং প্রয়োজনে কাউকে হেফাজতে নিতে পারবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু, নির্বাচনের সময় মন্ত্রীসভার সদস্যদের যাতে সিবিআই (CBI) জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি না হতে হয় (বা, জেলে যেতে না হয়), সেজন্য রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে আবেদন জানানো হয়। আগামী সোমবার পর্যন্ত তাই সিবিআই তদন্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ।

thebengalpost.net
প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে হল শুনানি:

প্রসঙ্গত, সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টা ৪৫ নাগাদ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হলে, SSC ও রাজ্য সরকারের তরফে হাইকোর্টের পুরো অর্ডারে স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, সব পক্ষের বক্তব্য না শুনে এখনই স্থগিতাদেশ দেওয়া সম্ভব নয়। তবে, সুপারনিউমারারি পোস্ট সংক্রান্ত সিবিআই তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয় এদিন। একইসঙ্গে, এদিনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড় যে সমস্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যগুলি করেন, “২৫ হাজার একটা বড় সংখ্যা! কোনও উপায় না দেখেই হয়তো কলকাতা হাইকোর্টকে পুরো প্যানেল বাতিল করতে হয়েছে।” তিনি এও বলেন, “প্যানেলের বাইরে চাকরি, বড় দুর্নীতি (জালিয়াতি)!” যোগ্য-অযোগ্যদের বিষয়ে তিনি বলেন, “SSC যেহেতু OMR নষ্ট করে দিয়েছে, যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব কিভাবে?” যদিও, স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে চাপে পড়ে বলা হয়, “যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করতে আমরা প্রস্তুত।” শেষমেশ আগামী সোমবার প্রধান বিচারপতি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। ওই দিন বিস্তারিত শুনানি হতে পারে বলেই আইনজীবীরা জানিয়েছেন। তার আগে আবধি যোগ্য শিক্ষকদের দুশ্চিন্তা যে আপাতত কাটছেনা, তা বলাই বাহুল্য!