দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ২৭ এপ্রিল: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (1st SLST 2016) শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ বাতিলের মামলা সোমবারই (২৯ এপ্রিল) উঠছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড় (Chief Justice D.Y Chandrachud)-র ডিভিশন বেঞ্চে। কলকাতা হাইকোর্টের ‘বিশেষ’ ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ (২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়োগ বাতিলের) চ্যালেঞ্জ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং রাজ্য সরকার (শিক্ষা দপ্তর) সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল চলতি সপ্তাহেই। আজ, শনিবার (২৭ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ শুনবে এই মামলা। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে থাকবেন বিচারপতি জে.বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। সূত্রের খবর, সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ দেশের শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি শুরু হতে পারে।

thebengalpost.net
প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠছে মামলা:

প্রসঙ্গত, মামলা দায়েরের পর সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছিল, মামলার শুনানির দিন স্থির হয়েছে আগামী ৩ মে। কিন্তু, কোন বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হবে, তা জানানো হয়নি। এর মধ্যেই, মামলাকারী পক্ষ চেয়েছিলেন মামলার শুনানি যেন হয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চেই। শনিবার দেখা গেল, এগিয়ে এসেছে মামলার শুনানির দিন। সোমবার বেলা ১২টা থেকেই শুনানি শুরু হবে বলে শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর। এই মামলাতে যোগ্য শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠনও পার্টি হতে চলেছেন বলে জানা গেছে। মুকুল রোহতগি, অভিষেক মনু সিংভি, কপিল সিব্বলের মতো তাবড় তাবড় আইনজীবীরা এই মামলায় চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের হয়ে লড়াই করবেন বলেও জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের সোমবার (২২ এপ্রিল) ২৫,৭৫৩ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর (যদিও, চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন ২৩-২৪ হাজার মতো) চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে, প্যানেল সম্পূর্ণ বাতিল করে নতুন নিয়োগ শুরু করার সেই রায় মানতে পারেনি রাজ্য সরকার, কমিশন,পর্ষদ থেকে শুরু করে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। যদিও, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ড. সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছেন, “আমরা প্রায় ৫০০০ (৫২৩০) শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর তালিকা দিয়েছিলাম, যাদের নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ ছিল। তবে, বাকি ১৯ হাজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলোনা।” যদিও, তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য, “এই ১৯ হাজারের মধ্যে যে ‘অযোগ্য’ (বা, বিতর্কিত) কেউ নেই, তাও শংসাপত্র দিয়ে আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়!” আর এখানেই যেন ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছেন রাজ্যের একাংশ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী।

thebengalpost.net
দুশ্চিন্তায় যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা: