মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুর, ১৮ অক্টোবর: দুই জেলায় দুই নতুন রেকর্ড! পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ১ দিনে সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের টিকাকরণ হওয়ার রেকর্ড। অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার ১০০ শতাংশ (মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে) মানুষের টিকাকরণ (অন্তত প্রথম ডোজ) সম্পূর্ণ হওয়ার রেকর্ড। রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (CMOH) জানিয়েছেন, “টিকাকরণের বিশেষ শিবিরের মাধ্যমে শনিবার জেলার ১ লক্ষ ১৮১ জনকে করোনা টিকা (প্রথম অথবা দ্বিতীয় ডোজ) দেওয়া হয়েছে। যা এই জেলার ক্ষেত্রে তো বটেই, খুব সম্ভবত রাজ্যের মধ্যেও একদিনে সর্বাধিক টিকা দেওয়ার রেকর্ড।” তিনি এও জানিয়েছেন, আজ অর্থাৎ সোমবারও জেলা জুড়ে এই বিশেষ ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি হবে। ডাঃ হাঁসদা জানিয়েছেন, “আবহাওয়া ভালো থাকলে, সোমবারও প্রায় ১ লক্ষ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া যেত। তবে, আবহাওয়া কিছুটা প্রতিকূল থাকায়, হয়তো সোমবার কিছুটা কম হবে!” এই মুহূর্তে ভ্যাকসিনের যোগানও পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

thebengalpost.net
টিকা দেওয়ার রেকর্ড পশ্চিম মেদিনীপুরে (ফাইল ছবি) :

অন্যদিকে,‌ পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার প্রায় ১০০ শতাংশ মানুষই করোনা টিকার অন্তত ১ টি ডোজ পেয়ে গেলেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কলকাতার পর দ্বিতীয় জেলা (নন্দীগ্রাম যদিও স্বাস্থ্যজেলা) হিসেবে এই রেকর্ড গড়ল নন্দীগ্রাম। প্রসঙ্গত, এই স্বাস্থ্য জেলার মোট জনসংখ্যা হল ২০ লক্ষ ৬৫ হাজার ৮৭২। এর মধ্যে, ১৮ উর্ধ্ব বা ১৮ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যা হল ১২ লক্ষ ১৬ হাজার ৭৯৯। নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এই জনসংখ্যার প্রায় পুরোটাই ভ্যাকসিনেশনের আওতায় এসে গেছে, অর্থাৎ ১০০ শতাংশ ১৮ উর্ধ্ব বাসিন্দা ভ্যাকসিনের অন্তত প্রথম ডোজ নিয়ে নিয়েছেন। তবে, দ্বিতীয় ডোজ বা দু’টি ডোজই সম্পূর্ণ হয়েছে ৪০ শতাংশ বাসিন্দার। নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, “কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার প্রদত্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশের বয়স ১৮ বা তার থেকে বেশি হয়। সেই হিসেবে, এই জেলার মোটামুটি সকলেই ভ্যাকসিনের অন্তত একটি ডোজ পেয়ে গেছেন। যদি, সামান্য কিছু বাকি থেকে থাকে, তবে তা এই সপ্তাহের মধ্যেই আমরা খুঁজে বের করব এবং প্রয়োজনে বাড়িতে গিয়ে হলেও, তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করব।”