দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ জুলাই: বয়স শুধু সংখ্যা মাত্র! মনের জোরটাই তাঁর অফুরান জীবনীশক্তির রসদ। আবারও প্রমাণ করলেন ষাটোর্ধ্ব লক্ষ্মণ চক্রবর্তী। পরিবেশ বাঁচানো, বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি মানুষের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা এবং সাক্ষরতা সম্পর্কে সচেতন করতে সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছেন ছিপছিপে চেহারার এই মানুষটি। করোনাকালে প্রথম লকডাউনের ধাক্কা সামলে উঠলেও, দ্বিতীয় লকডাউনে বহু মানুষের মতোই তিনিও কাজ হারান! এরপর থেকেই তিনি শুরু করেন মানুষকে সচেতন করার কাজ। সেই মতোই নিজের সাইকেলে করে দূরদূরান্তে পাড়ি দিচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি, ১ জুলাই তিনি কলকাতা থেকে রওনা দিয়েছিলেন কটকের উদ্দেশ্যে। ফেরার পথে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ছুঁয়ে যান পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন, বেলদা সহ বিভিন্ন এলাকা। যাওয়া-আসার পথে ‘সচেতনতার বার্তা’ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ চালিয়ে যান কলকাতার নিউটাউনের বাসিন্দা লক্ষ্মণ চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই ভারতবর্ষের একাধিক রাজ্য সাইকেলে ঘুরেছেন তিনি।
লক্ষ্মণ বাবুর যাত্রাপথে তাঁর লক্ষ্য পরিবেশ বাঁচাতে বৃক্ষরোপণ, পরিবেশ রক্ষায় পলিথিন ব্যবহার বর্জন সম্পর্কে সচেতন করা। শুধু এসব বিষয় নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বোধ গড়ে তোলাই লক্ষ্য নয়, তাঁর আরও লক্ষ্য প্রান্তিক গ্রামীন এলাকা থেকে শহর কিংবা শহরতলী এলাকায় প্রত্যেকের মধ্যে শিক্ষা এবং সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি করা। বর্তমান দিনে স্কুলছুট প্রবণতা রুখতে, সাইকেলে যতদূর যাচ্ছেন তত দূর মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করছেন। যাত্রাপথে তাঁর সঙ্গী দু’চাকার একটি সাইকেল, ছোট্ট একটি ব্যাগ, সাইকেলের সামনে এবং পিছনে একটি পোস্টার, স্বামী বিবেকানন্দ, ঠাকুর রামকৃষ্ণ, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ছবি এবং দেশের জাতীয় পতাকা। এভাবেই তিনি তাঁর যাত্রাপথে মানুষকে সচেতন করছেন। লকডাউনে তাঁর কাজ গিয়েছে। তবে, মানুষকে সচেতন করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাঁর কটক যাওয়ার যাত্রাপথে সহযোগিতা করেছে বারাসাত প্রেস ক্লাব ও রোটারি ক্লাব। তাঁর এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।