দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ আগস্ট: চলতি মরশুমে (১৮ আগস্ট পর্যন্ত) পশ্চিম মেদিনীপুরে স্ক্রাব টাইফাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১১৯ জন। এর মধ্যে, শীর্ষ স্থানে আছে গড়বেতা ৩ নং ব্লক। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭। সবংয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১২। মেদিনীপুর শহরে ৯, মেদিনীপুর গ্রামীণে ৭, শালবনীতে ৬, ডেবরা ও পিংলা-তে ৪ জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। কেশপুরে ৬ জন ও নারায়ণগড়ে ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ঘাটাল মহকুমায় আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম। দাসপুর-১ এ ৪ জন ছাড়া অন্য কোথাও আক্রান্ত নেই। ঠিক একইভাবে দাঁতনের দু’টি ব্লকেও আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য। স্ক্রাব টাইফাসে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি তথ্য প্রকাশ করে এমনটাই জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী। তিনি এও জানিয়েছেন, আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি। ১১৯ জনের মধ্যে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু বা নাবালক-নাবালিকার সংখ্যা ৫৬। তিনি এও জানিয়েছেন, স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্তদের মধ্যে এই মুহূর্তে জেলা জুড়ে চিকিৎসাধীন আছেন ১০-১৫ জনের কাছাকাছি। এর মধ্যে, প্রায় সকলেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিরা সকলেই ইতিমধ্যে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাই আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। একই কথা জানিয়েছেন, মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগের প্রধান ডাঃ তারাপদ ঘোষ। তাঁর মতে, “সঠিক সময়ে, সঠিক চিকিৎসায় শিশুরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।”
এদিকে, গত ২১ দিনে (১ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত) জেলার সমস্ত হাসপাতাল মিলিয়ে বিভিন্ন ধরনের রোগজ্বালা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ১১-১২ হাজার মানুষ। এর মধ্যে, জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০৬৩! অর্থাৎ প্রায় ৯-১০ শতাংশের কাছাকাছি। এর মধ্যে অবশ্য সাধারণ জ্বর বা মরশুমি জ্বর (Viral Fever)-ই বেশি। এছাড়াও আছে, স্ক্রাব টাইফাস। খুব স্বল্প সংখ্যায় আছে করোনা, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া প্রভৃতিও। এই সময়ে অর্থাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা একটু বেশি থাকে বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সারেঙ্গী। তবে, জেলার করোনা বা ডেঙ্গু পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে বলে তিনি জানিয়েছেন। এদিকে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ পঞ্চানন কুন্ডু জানিয়েছেন, “গত কয়েক সপ্তাহে প্রচুর শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে, সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ৪-৫ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছে।” স্ক্রাব টাইফাস নিয়েও আতঙ্কিত না হয়ে, দ্রুত চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর ও মেডিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে।