নবীন কুমার ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৬ সেপ্টেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় নতুন করে আরও ২৩৪ টি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা সাব সেন্টার গড়ে ওঠার খবর দিয়েছেন জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গত আগস্ট মাসেই ঘোষণা করেছিলেন রাজ্য জুড়ে উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো এবং স্বাস্থ্য ইঙ্গিত (টেলি মেডিসিন) চালু করার বিষয়ে। প্রতি ৫ হাজার জনসংখ্যা পিছু একটি করে উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা সাব সেন্টার গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। সেই অনুযায়ী, রাজ্যে মোট ৪৬৬১ টি নতুন উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২৩৪ টি নতুন উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে উঠতে চলেছে বিভিন্ন ব্লকে।
অপরদিকে, যে সমস্ত উন্নত উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা “সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র” রয়েছে, সেখানে টেলি মেডিসিন পরিষেবার মধ্য দিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষজনকে বিশেষ চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জেলার জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ। সোমবার তিনি জানিয়েছেন, “জেলায় আগে থেকেই ৬৩৯ টি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র ছিল। এর মধ্যে, ৩০৬ টা সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র। সেই ৩০৬ টি’র মধ্যে ১৭৭ টিতে টেলিমেডিসিন পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এই পরিষেবা-কে স্বাস্থ্য ইঙ্গিত নাম দিয়েছেন। এর ফলে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে প্রত্যন্ত গ্রাম বাংলার মানুষ সরাসরি ফোনে কথা বলতে পারবেন এবং সেইমতো তাঁর চিকিৎসা হবে। ইতিমধ্যে, জেলায় প্রতিদিন ১ হাজার মানুষ এর ফলে উপকৃত হচ্ছেন। অন্যদিকে, জেলায় নতুন করে ২৩৪ টি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা সাব সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে।” এর ফলে, জেলায় মোট উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (সাব সেন্টার) সংখ্যা দাঁড়াল ৮৭৩। উল্লেখ্য যে, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসক’রা থাকেন না, থাকেন ২ জন করে ANM নার্স। কিন্তু, নির্দিষ্ট (১৭৭) সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন পরিষেবা দেওয়া শুরু হয়েছে। অপরদিকে, বিভিন্ন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক না থাকার বিষয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ আছে। এনিয়েও জেলার জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ জানিয়েছেন, “নির্দিষ্ট দাবি বা অভিযোগ এলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।”