thebengalpost.net
MoU স্বাক্ষরিত:

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২ সেপ্টেম্বর:’জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০’ (NEP 2020)-কে সামনে রেখে প্রথাগত শিক্ষা আর পেশাগত জ্ঞানার্জনের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে ভারত তথা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) তরফে। তাই, প্রযুক্তিবিদ্যার অন্যতম এই পীঠস্থানে কলা, বাণিজ্য, আইন, স্বাস্থ্য প্রভৃতি নানা বিষয়ের উপর স্বল্প মেয়াদী থেকে দীর্ঘমেয়াদী নানা কোর্স বা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে ইতিমধ্যে। সেই সঙ্গে প্রতিটি কোর্স বা পাঠক্রমকে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ করার প্রচেষ্টাও চলছে প্রতিনিয়ত। বিশ্বের নামকরা সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইতিমধ্যেই অ্যাকাডেমিক কোলাবোরেশন কিংবা মউ (MoU/ Memorandum of Understanding) স্বাক্ষরও করা হয়েছে। সেই তালিকাতেই নবতম সংযোজন, পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় আইনবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের (West Bengal National University of Juridical Sciences) এর সঙ্গে আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) মউ স্বাক্ষর।

thebengalpost.net
MoU স্বাক্ষরিত:

শুক্রবার আইআইটি খড়্গপুরে NUJS (National University of Juridical Sciences) এর উপাচার্য (Vice-chancellor) ড. নির্মল কান্তি চক্রবর্তী এবং আইআইটি খড়্গপুরের অধিকর্তা (Director) প্রফেসর বীরেন্দ্র কুমার তেওয়ারি-র উপস্থিতিতে এই মউ (MoU) স্বাক্ষরিত হয়। যৌথ অধ্যয়ন ও গবেষণার সাথে সাথেই পেটেন্ট অধিকার, কপিরাইট তথা মেধা সম্পত্তির অধিকার (Intellectual Property Rights)- এর বিষয়ে আইন ও প্রযুক্তিগত সমন্বয় বা মেলবন্ধনের স্বার্থেই এই চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে বলে জানান দুই প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপকেরা। আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) ডিরেক্টর অধ্যাপক বীরেন্দ্র কুমার তেওয়ারি (Prof. Virendra Kumar Tewari) বলেন, “অ্যাকাডেমিক এই আদান-প্রদান আইন ও প্রযুক্তি উভয় বিষয়কেই সমৃদ্ধ করবে। এমনিতেই আইআইটি খড়্গপুরের আইন স্কুল ভারতের ‘সেরা ১০’- এ জায়গা করে নিয়েছে NIRF Ranking 2023 অনুযায়ী। জাতীয় আইনবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তির ফলে তা আরো কার্যকরী রূপ পাবে বলে আমরা আশাবাদী।” NUJS এর উপাচার্য ড. নির্মল কান্তি চক্রবর্তী (Dr. Nirmal Kanti Chakraborty) বলেন, “আইন ও প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণার পরিসর আরও প্রসারিত হবে। শিক্ষাগত সম্পদের সাথে সাথেই মানব সম্পদের আদান-প্রদানের ফলে গবেষক ও পড়ুয়াদের সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে। আর, ‘জাতীয় শিক্ষানীতি- ২০২০’র সেটাই মূল উদ্দেশ্য।”