thebengalpost.net
দেহ এল:

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২২ জুন: আইআইটি খড়্গপুর (IIT Kharagpur)- এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তথা অসমের গুয়াহাটির বাসিন্দা ফাইজান আহমেদের (Faizan Ahmed) মৃত্যু-রহস্যের কিনারা হয়নি এখনও। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গড়ে দেওয়া হয়েছে তদন্ত কমিটি। আর, সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো মাত্র ৮ মাসের মাথায়। মৃত ইন্টার্নশিপ পড়ুয়ার নাম সূর্য দীপেন জি.এস (Suriya Deepan G.S)। বুধবার রাতে আইআইটি খড়্গপুরের আর.কে হলে নিজের রুমেই অসুস্থতা অনুভব করেন সূর্য। তাঁর রুমমেটের সহযোগিতায় সূর্য দীপেন-কে আইআইটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও, চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান। তবে, দেহ হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই মৃত্যু হওয়ায়, ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় হাসপাতালের চিকিৎসক ও পুলিশের তরফে। বৃহস্পতিবার সকালে খড়্গপুর টাউন থানার তরফে প্রাথমিক তদন্তের পর, বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ পুলিশি নজরদারিতে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পৌঁছয় তাঁর দেহ। শুক্রবার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এও জানা গেছে, তামিলনাড়ুর তিরুপুরের বাসিন্দা ২২ বছরের এই ছাত্র কেরালার তিরুবন্তপুরমের একটি কলেজে পড়াশোনা করতেন। আইআইটি সূত্রে এও জানা যায়, চলতি বছরেই আইআইটি-তে একটি সংক্ষিপ্ত কোর্সে ইন্টার্নশিপের (সামার ইন্টার্নশিপ/ Summer Internship) সুযোগ পেয়ে কেরালা থেকে খড়্গপুরে এসেছিলেন সূর্য দীপেন নামে ওই পড়ুয়া।

thebengalpost.net
দেহ এল মেদিনীপুর মেডিকেলে:

আইআইটি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে মৃত ছাত্রের পরিবারকে। আইআইটি-র রেজিস্ট্রার তমাল নাথ জানিয়েছেন, ঘটনাটি পুলিশকে (Police) জানানো হয়েছে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খড়গপুর টাউন থানার (Kharagpur Town Police Station) আইআইটি ফাঁড়ির পুলিশ জানিয়েছে, কীভাবে ওই ছাত্রের মৃত্যু হল, তা জানা যাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর। অন্যদিকে, ২০২২ সালের অক্টোবরের (১৪ অক্টোবর) পর ২০২৩ এর জুন (২১ জুন); মাত্র ৮ মাসের ব্যবধানে আইআইটি খড়্গপুরে (IIT Kharagpur) ভিন রাজ্যের মেধাবী পড়ুয়ার রহস্য-মৃত্যু ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র বছর ২৩’র ফাইজান আহমেদ (Faizan Ahmed)- এর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছিল গত বছর (২০২২) ১৪ অক্টোবর আইআইটি খড়্গপুরের লালা লাজপত রায় হস্টেল থেকে। খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশে সম্প্রতি দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়েছে তাঁর দেহের। ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ খুনের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন! তাই, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই খুন বা রহস্য-মৃত্যুর তদন্ত করার জন্য একটি তদন্ত-কমিটি গড়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের মারফত। আর, তার মধ্যেই নতুন করে আরেক পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আইআইটি ক্যাম্পাসে। জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানিয়েছেন, “প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ দেহ সংরক্ষণ করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরিবারের সদস্যরা আসার পর ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যেতে পারে।”