thebengalpost.net
রায়দান করলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ:

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ২২ এপ্রিল: “এই নিয়োগ প্রক্রিয়া (প্যানেল) বাতিল করে দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না!” ২৮১ পাতার ‘ঐতিহাসিক’ রায়দান করতে গিয়ে ঠিক এমনটাই জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি দেবাংশু বসাক। সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল ঠিক সাড়ে ১০টায় 2016 সালের SSC-র (1st SLST, 2016) পুরো নিয়োগ-প্রক্রিয়া ‘বাতিল’ করলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে পুরো প্যানেল ‘নাল আন্ড ভয়েড’। ফলে, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি’র প্রায় ৭ হাজার শিক্ষাকর্মী সহ মোট ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি চলে যাচ্ছে এক ধাক্কায়! শুধুমাত্র সোমা দাস নামে ক্যান্সার আক্রান্ত একজনের চাকরি থাকবে (মানবিক কারণে) বলে জানিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে, প্যানেলের মেয়াদ ফুরোনোর পর বা প্যানেল বহির্ভূত শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের চার সপ্তাহের মধ্যে পুরো বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি বসাক ও বিচারপতি রশিদি। সিবিআই নিজেদের তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

thebengalpost.net
রায়দান করলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ:

বিচারপতি বসাক জানিয়েছেন, এই প্যানেলে অনেক যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা থাকলেও, যেভাবে SSC পুরো নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি করেছে; তাতে প্যানেল বাতিল করা ছাড়া উপায় ছিলো না! প্রায় ১৭ রকমের দুর্নীতি হয়েছে এই প্যানেলে। দুই বিচারপতির নির্দেশ, সমস্ত ওএমআর (OMR) ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। নির্বাচনের পরই ২৪,৬৪০টি শূন্যপদে পুনরায় নিয়োগ-প্রক্রিয়া (রি-প্যানেল) শুরু করতে হবে। পাশাপাশি, সোমা দাস নামে একজনের চাকরি বহাল থাকবে বলেও জানিয়েছে আদালত। তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ায় মানবিক কারণে এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন বিচারপতিরা। ফলে, এই রায় যে লোকসভা নির্বাচনের আগে শাসক-শিবিরের কাছে বড় ধাক্কা, তা বলাই বাহুল্য! যদিও বঞ্চিতদের পুনরায় সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সুযোগ থাকছে বলে আইনজীবীদের একাংশ জানিয়েছেন। অন্যদিকে, তদন্তের স্বার্থে সিবিআই যাকে প্রয়োজন মনে করবে, তাঁকেই হেফাজতে নিতে পারবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে এসএসসি নিয়োগ শূন্যপদ ২৪,৬৪০টি। কিন্তু ২৫,৭৫৩টি নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়েছিল। অর্থাৎ শূন্য পদের থেকে ১১১৩ জনকে বাড়তি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন প্রায় ২৩ লক্ষ। (আরও বিস্তারিত পরবর্তী নিউজে।)