দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭ মে: ‘রেমাল’ (Cyclone Remal) আসার আগে রবিবার (২৬ মে) বিকেল থেকে মেদিনীপুর শহরের নজরগঞ্জের ঘাটে বসে (কাঁসাই বা কংসাবতী নদীতে) মাছ ধরছিলেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। সন্ধ্যা নাগাদ টান ধরে ছিপে। ভাবলেন বড় সড় কাতলা বোধহয়! বহু কষ্টে টেনে টুনে পাড়ে নিয়ে আসার পর দেখলেন এক দৈত্যাকার কাছিম (বড় কচ্ছপ/Turtle)। এরপরই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। দৈত্যাকার এই কচ্ছপ বা কাছিম দেখতে ভিড় জমান এলাকাবাসী।

thebengalpost.net
কাছিম হাতে দেবরাজ:

বন্ধুবান্ধবদের মারফত এই খবর পান মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা, ‘সর্পবন্ধু’ (‘প্রাণীবন্ধু’ বললেও অত্যুক্তি হয়না) হিসেবে পরিচিত দেবরাজ চক্রবর্তীর কাছেও। এরপর, দ্রুত ওই এলাকায় পৌঁছে কাছিমটিকে উদ্ধার করেন দেবরাজ। ওজন করার পর দেখা যায় প্রায় ২৮ কেজি (২৭ কেজি ৬০০ গ্রাম)! এরপর দৈত্যাকার ওই কাছিমটিকে দেবরাজ চক্রবর্তী, নিতাই রক্ষিত প্রমুখদের উদ্যোগে তুলে দেওয়া হয় শহরের রাঙামাটি এলাকায় অবস্থিত রূপনারায়ণ ডিভিশনের বনকর্মীদের হাতে। বনদপ্তরের তরফে পূর্ণবয়স্ক ওই কাছিমটির প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর তা নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দেওয়া হয়। সমাজকর্মী ও পরিবেশবিদ রাকেশ সিংহ দেব বলেন, “শুধু সর্পবন্ধু নয়, পরিবেশ বন্ধু বা প্রাণীবন্ধু হিসেবে দেবরাজ চক্রবর্তী আজ জেলাবাসীর কাছে জনপ্রিয়। অত্যন্ত ভালো কাজ করেছেন উনি। এই ধরনের বৃহদাকার কচ্ছপ জলে থাকে। একে ‘কাছিম‘ (বা, গঙ্গা কাছিম/ Indian softshell turtle) বলে। আর, ডাঙায় যেগুলি থাকে, তাকে ‘কচ্ছপ‘ (Tortoise) বলে। এদের গড় আয়ু মোটামুটি ১০০-১৫০ বছর হয়। ৩০০ বছর বয়সী কচ্ছপও দেখা যায় মাঝেমধ্যে। পরিবেশের স্বার্থে এদের বেঁচে থাকা খুব প্রয়োজন।”