দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৭ সেপ্টেম্বর: সমৃদ্ধির পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলে অবস্থিত ‘বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়’! পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (West Bengal Pollution Control Board) রাজ্যের মধ্যে প্রথম বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়েই “দূষণ পরিমাপক ব্যবস্থা এবং দূষণ নির্দেশক স্বয়ংক্রিয় বোর্ড” এর প্রতিষ্ঠা করল। রবিবার ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০২ তম জন্মদিবসের শুভক্ষণে এই দূষণ পরিমাপক ব্যবস্থার উদ্বোধন করলেন, পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. কল্যান রুদ্র। তিনি জানালেন, “এই ব্যবস্থায় বাতাসে বা বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ, তাপমাত্রা যেমন বোঝা যাবে, ঠিক তেমনই বাতাস দূষণের পরিমাণ অর্থাৎ ক্ষতিকারক উপাদান গুলির পরিমাণ সম্বন্ধেও জানা যাবে। একইসঙ্গে, নয়েজ পলিউশন বা শব্দ দূষণ সম্পর্কেও জানা যাবে।” বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথের (মেন গেটের) একেবারে সামনেই লাগানো বিশাল মাপের স্বয়ংক্রিয় ডিসপ্লে বোর্ড (দূষণ নির্দেশক বোর্ড) এ সমস্ত তথ্য ফুটে উঠবে। তা শুধু বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক-গবেষিকা, অধ্যাপক-অধ্যাপিকারাই নয়, ওই পথ দিয়ে যাতায়াতকারী সমস্ত মানুষই দেখতে পাবেন। রাজ্যের মধ্যে প্রথম বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়েই এই ব্যবস্থার উদ্বোধন হলো বলে ড. রুদ্র জানিয়েছেন।

thebengalpost.net
উদ্বোধন হল দূষণ পরিমাপক ব্যবস্থার :

উল্লেখ্য যে, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দূষণ নির্দেশক স্বয়ংক্রিয় বোর্ড এবং সার্বিক এই ব্যবস্থার উদ্বোধন হলো রবিবার। ওই বোর্ড লাগানো হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাক (NAAC) এর দল পরিদর্শন (১৫-১৭ সেপ্টেম্বর) করতে আসার আগেই। তবে, বিদ্যাসাগরের জন্ম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের দিনই এই ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. কল্যান রুদ্র। তিনি জানিয়েছেন, “রাজ্যে মোট ১৫০ টি জায়গায় এই ব্যবস্থা এবং এই বোর্ড লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে, ৩০- টির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। প্রথম উদ্বোধন হলো বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়েরটি। এর ফলে, বাতাসের গুণগতমান আপনারা জানতে পারবেন এবং সেই মতো নিজেদের জীবনযাপন প্রণালী বা পরিবেশের প্রতি আপনাদের কর্তব্য নির্ধারণ করতে পারবেন। কারণ, আপনারা শিক্ষিত প্রজন্ম, আপনারাই সমগ্র সমাজকে পথ দেখাতে পারবেন এবং শহরবাসীকে সচেতন করতে পারবেন।” তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেও এই ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে এও উল্লেখ্য যে, ড. রুদ্র একসময় বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। এদিন, সেই কথা তিনি নিজেই উল্লেখ করে, স্মৃতিমেদুরতায় আচ্ছন্ন হয়ে যান। উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শিবাজী প্রতিম বসু, প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী তথা এদিনই বিদ্যাসাগর পুরস্কারে ভূষিত প্রতুল মুখোপাধ্যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক (রেজিস্ট্রার) ড. জয়ন্ত কিশোর নন্দী, বিজ্ঞান বিভাগের ডিন ড. সত্যজিৎ সাহা, কলা ও বাণিজ্য বিভাগের ডিন ড. তপন কুমার দে সহ অন্যান্য অধ্যাপক অধ্যাপিকা, গবেষক ও আধিকারিক গণ।

thebengalpost.net
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই বসেছে দূষণ নির্দেশক বোর্ড :