দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ জানুয়ারি: মারা গিয়েছেন বাবা। ডেথ সার্টিফিকেট এল ছেলের নামে! অভিযুক্ত মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতিতে এখন মহা-সমস্যায় পড়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার যুবক। জানা যায়, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছিলেন চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কমরগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা উত্তম নন্দী (৫৪)। মৃত উত্তম নন্দীর ছোটো ছেলে বলরাম নন্দী। বছর ৩০’র বলরাম বাবার দেহ সংগ্রহ করার জন্য নিজের সমস্ত ডকুমেন্ট জমা দিয়েছিলেন। ডেথ সার্টিফিকেট বেরিয়ে এল তাঁর নামেই!

thebengalpost.net
ছেলে বলরাম নন্দী নিজের ডেথ সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে:

জানা যায়, পেশায় কৃষক উত্তম নন্দী ২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর বিষপান করেছিলেন। ওই দিন বিকেল ৪টা ৪০ নাগাদ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা ৬টা ৪০ নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়! এরপর, ময়নাতদন্ত ও দেহ সংগ্রহের জন্য উত্তম নন্দীর ছোটো ছেলে বলরাম নন্দী তাঁর আধার কার্ড সহ বিভিন্ন ডকুমেন্টস জমা দেন। এরপর, গত কয়েকদিন আগে তিনি বাবার ডেথ সার্টিফিকেট হাতে পান। আর তা হাতে নিয়েই তাঁর ‘চক্ষু চড়ক গাছ’ হয়ে যায়। তাঁকেই মেরে ফেলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ! বলরাম বলেন, “বাবা মারা যাওয়ার পর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বাবার ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য আবেদন করি। আবেদনের ভিত্তিতে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি আমার মোবাইলে মেসেজ আসে এবং একটি লিঙ্কও তার সাথে দেওয়া হয়। এরপর, মেসেজের সাথে দেওয়া লিঙ্ক থেকে বাবার ডেথ সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা হয়।” আর, তারপরই চক্ষু চড়ক গাছ হয় তাঁর। এখন এই ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে গ্যাস কানেকশনের নাম সংশোধন থেকে শুরু করে কোথাও কোন কাজ হচ্ছে না তাঁদের। এই বিষয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত কুমার রাউত বলেন, “বিষয়টা আমরা দেখে নিচ্ছি। কোনও টেকনিক্যাল প্রবলেম হয়ে থাকতে পারে। আমাদের কাছে এলে তা দ্রুত ঠিক করে দেওয়া হবে।”