দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ জুলাই:’দস্যু’ রত্নাকর যদি ‘মহাকবি’ বাল্মীকি হয়ে উঠতে পারেন, খুনের আসামি থেকে ‘মাটির মানুষ’ হয়ে ওঠা কি এমন বড় কাজ! যৌবনে রাগের বশে তাঁরা খুন করেছিলেন প্রতিবেশী কিংবা নিকটাত্মীয়কে। আজ বার্ধক্য বা প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছে তাঁরাই হয়ে উঠেছেন শান্ত, সৌম্য, মাটির মানুষ। সেদিনের খুনের কথা মনে করলে, এখন অনুশোচনায় নিজরাই নিজেদের দগ্ধ করেন! এমনই তিন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি শুক্রবার (১১ জুলাই) মুক্তি পেলেন মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার বা সেন্ট্রাল জেল থেকে।
তিন আসামির ব্যবহার বা আচরণে মুগ্ধ হয়ে বছরখানেক আগেই তাঁদের মুক্তির সুপারিশ করেছিল মেদনীপুর সেন্ট্রাল জেল কর্তৃপক্ষ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ বা ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিস অথোরিটির সহযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গের ‘স্টেট সেন্টেন্স রিভিউ বোর্ড’ এই তিন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির ‘জেল-মুক্তি’ সুপারিশ অনুমোদন করে। অবশেষে শুক্রবার দুপুরে জেল থেকে মুক্ত হলেন আসানসোলের রতন রুইদাস এবং পুরুলিয়ার সাধু রায় ও কৃষ্ণপদ কুমার। জেল সূত্রেই জানা যায়, পুরুলিয়ার সাধু বচসার জেরে এক প্রতিবেশীকে খুন করেছিলেন। প্রায় ২১ বছর ধরে মেদিনীপুর সেন্ট্রাল কারেকশনাল হোমে ছিলেন তিনি। দু’চোখেই এখন আর দেখতে পাননা বছর ৬৫-র সাধু। পুরুলিয়ারই বাসিন্দা কৃষ্ণপদ প্রায় ১৮ বছর ধরে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ছিলেন। তিনিও প্রতিবেশীকে খুনের ঘটনায় সাজা পান। শুক্রবার পরিবারের সদস্যদের হাত ধরে বাড়ি ফিরলেন বছর ৭০-র কৃষ্ণপদ।
অন্যদিকে, আসানসোলের বারাবনী থানা এলাকার বাসিন্দা রতন রুইদাস ২৩ বছর ধরে জেল খাটছিলেন। জমি সংক্রান্ত বিবাদে বচসা থেকে হাতাহাতির ঘটনায় জড়িয়ে এক নিকটাত্মীয়কে খুন করেছিলেন রতন। শুক্রবার ৫৫ বছর বয়সী রতনকেও মুক্তি দিলেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। জেলের ভিতরে তিনজনের আচার-আচরণ, সংযমী জীবন যাপনের জন্যই তাঁরা মুক্ত হলেন বলে জানান জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ। প্রায় ১৮ থেকে ২৩ বছর পর, মুক্তির স্বাদ পেলেন সাধু, কৃষ্ণ ও রতন। জীবনের প্রায় উপান্তে পৌঁছে মূল স্রোতে ফেরার আনন্দে আপ্লুত তাঁরা। তাঁদের বরণ করে নিতে হাজির ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর পরিবারের সদস্যদের সাথে মিলিত হওয়ার মুহূর্তখানি হয়ে উঠেছিল আবেগমথিত। উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা মেদিনীপুর জেলা আদালতের সিভিল জজ শহিদ পারভেজ। তিনি বলেন, “এই তিন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির ব্যবহার, আচরণ সহ বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে তাঁদের মুক্তির সুপারিশ করে জেল কর্তৃপক্ষ। তা অনুমোদন করে স্টেট সেন্টেন্স রিভিউ বোর্ড। আমরাও এক্ষেত্রে নিজেদের ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করেছি। খুব ভালো লাগছে এঁরা আবার সমাজের মূল স্রোতে ফিরে গেলেন।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ জুলাই: "এক কাজ করবি অপু, চল যাই আমরা…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ জুলাই: সাতসকালেই জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ জুলাই: "মেদিনীপুরের তিনজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নাম কর যারা…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ জুলাই: বর্ষার আকাশে এক অদ্ভুত দৃশ্য! না রামধনুর…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ জুলাই: সাতসকালেই জাতীয় সড়কের উপর পড়ে অসংখ্য জ্যান্ত…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ জুলাই:'বিচার' চেয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন খড়্গপুর শহরের…