দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর,৪ জুন: জুনের চারে নিভল অগ্নি! বিধানসভার ফলাফল ঘোষণার দিন যে ‘শাড়ি’ পরে গণনাকেন্দ্রে প্রবেশ করছিলেন। এবারও সেই একই শাড়ি। প্রায় একই সাজ! মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ খড়্গপুর শহরের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের গণনাকেন্দ্রে নির্বাচন কমিশনের তরফে ‘জয়ী’ ঘোষণা করার পর, চেনা মেজাজেই সাংবাদিকদের সামনে ধরা দিলেন মেদিনীপুর লোকসভার ‘নতুন’ সাংসদ জুন মালিয়া। সেই স্মিত হাসি, কিন্তু আত্মবিশ্বাসী কন্ঠে সাংবাদিকদের জানালেন, “এই জয় মমতা দি, ভাই অভিষেক সহ যাঁরা যাঁরা আমার সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের সকলের জয়!” জেলার নেতাদের অবশ্য আলাদা করে নাম নেননি ২৮ হাজার (প্রায়) ভোটে জয়ী জুন! ‘সুকৌশলে’ কৃতিত্ব দিয়েছেন সকলকেই।

thebengalpost.net
গণনাকেন্দ্রের বাইরে জুন:

উল্লেখ্য যে, দিলীপ ঘোষের ‘গড়’ ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য মেদিনীপুরের বিধায়ক ‘প্রিয়’ জুনের উপরই আস্থা রেখেছিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারেও এসেছেন একাধিকবার। এসেছেন ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-ও। ‘শীতল সম্পর্ক’ ভুলে জান লড়িয়ে দিয়েছেন জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা সহ জেলা তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের প্রত্যেকেই। তাই, বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল ‘কঠিন’ লড়াই দিলেও শেষ পর্যন্ত জুনের জয় সহজই হয়েছে। এদিন সাংবাদিকদেরও জুন জানান, “এতদিন বলিনি, আজ বলছি; যেভাবে মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, জানতাম ফল ভালোই হবে। তবে, এই লড়াই সহজ ছিলোনা। যাঁরা যাঁরা এই লড়াইয়ে আমার সঙ্গে ছিলেন, এই জয় তাঁদের সকলের।” কি কি কাজ করবেন? জুন বলেন, “মোহনপুর ব্রিজটা আগে করতে হবে। খড়্গপুর শহরের একাধিক সমস্যা আছে। এছাড়াও, প্রতিটি বিধানসভাতেই আমাকে কাজ করতে হবে।”