thebengalpost.net
জামিন পেলেন কাঞ্চন ধাড়া :

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ ডিসেম্বর: মেদিনীপুর আদালতে কার্যত ‘নজিরবিহীন’ ঘটনা! অন্তর্বর্তী জামিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জেলে যেতে হল মেদিনীপুর শহরের স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ কাঞ্চন ধাড়াকে। ভুল-চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর মামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন মেদনীপুর আদালতের বিচারক। বুধবার অবশ্য তিনি ২৪ ঘন্টার জন্য অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ পেয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই অন্তর্বর্তী জামিন বা ইনটেরিম বেল (Interim Bail) বাতিল করেন বিচারক। তাঁকে আদালত থেকেই গ্রেফতার করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। ভুল চিকিৎসার কারণে মেদনীপুর শহরেরই এক রোগীর (মহিলার) মৃত্যুর অভিযোগেই জেলে যেতে হল পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শহর মেদিনীপুরের সুপরিচিত এই চিকিৎসককে।

thebengalpost.net
ফাইল ছবি:

thebengalpost.net
দুপুরে মেদিনীপুর আদালতে ‘প্রতিবাদ-অবস্থান’- এ কেয়া মাইতি:

প্রসঙ্গত, চলতি বছর (২০২৩) সেপ্টেম্বর মাসে মেদিনীপুর শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে (নার্সিংহোমে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় দিপালী খামরুই (৫২) নামে এক মহিলার। তাঁর জরায়ু-র অপারেশন বা অস্ত্রপচার করেছিলেন ডঃ কাঞ্চন ধাড়া। অভিযোগ, অস্ত্রপচারের পরই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে ওই রোগিনীর। শেষমেষ গোটা শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়ে বা সেপ্টিসেমিয়া-তে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই, চিকিৎসায় গাফিলতি বা ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয় মৃতার পরিবার। কোতোয়ালী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার স্বামি স্বপন খামরুই। সেই মামলাতেই বুধবার মেদিনীপুর আদালতে একদিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন চিকিৎসক কাঞ্চন ধাড়া। বৃহস্পতিবার ফের শুনানির জন্য আদালতে হাজির করানো হয় চিকিৎসককে।

আর এসবের মাঝেই, বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালত চত্বরে প্ল্যাকার্ড হাতে ধর্নায় বসেন মৃতার মেয়ে কেয়া মাইতি। বিচারের দাবি নিয়ে টানা কয়েক ঘন্টা ধরে ধর্নায় বসে থাকেন তিনি। এরপর, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে সাওয়াল-জবাব। অবশেষে সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ চিকিৎসক কাঞ্চন ধাড়াকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। যদিও অভিযুক্ত চিকিৎসকের দাবি, “চক্রান্ত করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে!” এভাবে চিকিৎসকের গ্রেফতারির ঘটনা রীতিমতো নজিরবিহীন বলে মানছে সংশ্লিষ্ট মহল। তবে, আদালতের নির্দেশে খুশি মৃতার মেয়ে কেয়া মাইতি সহ তাঁর পরিবার! তাঁদের (মৃতার পরিবারের) আইনজীবী অপূর্ব চক্রবর্তী বলেন, “নজিরবিহীন ঘটনা। পুলিশ কেস ডায়েরি জমা না করায় বুধবার উনি ১ দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন। তারপরের ঘটনা মেদিনীপুর আদালতে নজিরবিহীন! ওঁর (কাঞ্চন ধাড়া) বিরুদ্ধে এরকম ৮-টি মামলা আছে। তবে, এই মামলাতে তদন্তকারী অফিসারের (IO) ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে। নাহলে আরও আগেই উনি গ্রেফতার হতেন।”

thebengalpost.net
মেদিনীপুর আদালতে কাঞ্চন ধাড়া :

thebengalpost.net
আইনজীবী অপূর্ব চক্রবর্তী :