দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ আগস্ট: রাস্তা নয় ঠিক যেন মরণ-ফাঁদ। প্রায় প্রতিদিন ঘটছে ছো-বড় দুর্ঘটনা। কারুর হাত ভাঙছে তো কারুর পা! কেউ আবার চিরকালের জন্য পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিচ্ছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের ভাদুতলা-লালগড় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সড়কের অধীন চ্যাংশোল (মৌপাল সংলগ্ন) থেকে কয়মা (ভীমপুর সংলগ্ন) পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার রাস্তা সম্পর্কে ঠিক এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কার করা না হলে রাজ্য সড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মৌপাল, সাতপাটি, পিড়াকাটা, মালিদা, কয়মা সহ ৭-৮টি গ্রামের বাসিন্দারা। গৌতম দাস, দেবাশীষ ঘোষ, প্রশান্ত পলমল প্রমুখের অভিযোগ, “এই রাস্তার উপরই আছে পিড়াকাটা, সাতপাটি ও মৌপাল হাইস্কুল। প্রাণ হাতে নিয়ে যাতায়াত করে পড়ুয়ারা। মেদিনীপুর মেডিক্যাল, শালবনী হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার আগেই অনেক সময় তাঁর মৃত্যু হচ্ছে! আর দুর্ঘটনা তো প্রতিদিনই হচ্ছে।”

thebengalpost.net
ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত:

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):

তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পরিমল ধল এবং শালবনীর বিডিও রোমান মন্ডলের কাছেও এই বিষয়ে নিজেদের দাবি তুলে ধরেন এলাকার বাসিন্দারা। সাতপাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পরিমল ধল স্বীকার করেন, “সত্যিই এই রাস্তার বেহাল অবস্থা। গ্রামবাসীরা একাধিকবার জানিয়েছেন। প্রায় প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াও মুশকিল হয়ে পড়ছে। আমি ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছি।” বিডিও রোমান মন্ডল বলেন, “আমি PWD-র ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে কথা বলেছি। ওঁরা আশ্বস্ত করেছেন। বর্ষার পরেই কাজ শুরু হতে পারে।” দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার চিন্ময় সাহা বলেন, “বর্ষার জন্যই এতটা বেহাল হয়ে পড়েছে এই রাস্তা। বর্ষার পরই সংস্কার করা হবে। ওই রাজ্য সড়কটি যাতে আরও চওড়া করে নির্মাণ করা যায়, সেই প্রকল্পও জমা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি পুজোর পর আর্থিক অনুমোদন এসে যাবে।” জেলার বিভিন্ন প্রান্তেই বেহাল রাস্তা ঘিরে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ বলেন, “এই বছরের মতো রেকর্ড বৃষ্টি আগে কখনও হয়নি। আর সেজন্যই বহু রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। আমরা তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানোর কাজ শুরু করেছি। বর্ষার পরই কাজ শুরু হবে।”

thebengalpost.net
পিড়াকাটাতে রাজ্য সড়কের বেহাল দশা: