দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ নভেম্বর: হার ছিনতাইয়ের কিছুক্ষণের মধ্যেই তা গলিয়ে বিক্রিও করে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তবে, শেষ রক্ষা হলনা! কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ওই গলানো সোনা উদ্ধার করল জেলা শহর মেদিনীপুরের কোতোয়ালী থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই দুষ্কৃতী সহ ওই সোনা কারবারীকেও। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই দ্রুততার সঙ্গে কোতোয়ালী থানার পুলিশ বাহিনী এই অপারেশনে সাফল্য পায় বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ এবং ওই শিক্ষিকার মাধ্যমে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেল ৫-টা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শহর মেদিনীপুরের শরৎপল্লী এলাকার বাসিন্দা, শিক্ষিকা কাকলি দে হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎই শরৎপল্লীর এক নির্জন রাস্তায় ওই শিক্ষিকার গলা থেকে সোনার হার ছিনতাই করে দৌড় দেয় এক দুষ্কৃতী। এরপর, পাশের গলিতে দাঁড়িয়ে থাকা তার অপর সঙ্গীর বাইকে চেপে দ্রুত উধাও হয়ে যায়।
এদিকে, শিক্ষিকার চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। তাঁরাই ওই শিক্ষিকাকে পরামর্শ দেন, অবিলম্বে কোতোয়ালী থানায় যাওয়ার জন্য। এরপর ফোন করে তাঁর বাবাকে ডাকেন শিক্ষিকা। দ্রুত তাঁরা থানায় পৌঁছে পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানান। সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় টাউন বাবুর নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযানে নামেন তাঁরা। রাত্রি ৯-টা নাগাদ পাটনাবাজার থেকে গলিত অবস্থায় ওই সোনার হার উদ্ধার করা হয়। সোনার কারিগর রাজু সাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাটনাবাজার দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা তথা ছিনতাইকারী বরুণ হাঁসদা ও তার সঙ্গীকেও গ্রেফতার করা হয় রাতেই। বছর ২০-২৫’র এই দুই দুষ্কৃতী দক্ষিণপাড়া এলাকারই বাসিন্দা বলে জানা গেছে পুলিশ সূত্রে। পাটনাবাজারের সোনার কারিগর রাজুকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। রাজুর দাবি, “বিকেল পাঁচটা নাগাদ বরুণ আমার বাড়িতে গিয়েছিল। কিন্তু, দু’বার ওকে ফিরিয়ে দিলেও, তৃতীয়বার এসে বলে- মেয়ের শরীর খারাপ, টাকার প্রয়োজন! তারপরই, আমি ওই সোনা গলিয়ে, তা বিক্রি করে ৪৫ হাজার টাকা দিয়েছিলাম।” তাঁর আফসোস, “একই এলাকার বাসিন্দা এবং দীর্ঘদিনের পরিচিত যুবক বলেই ওকে বিশ্বাস করেছিলাম। ওটাই ভুল হয়ে গেছে!” ওই শিক্ষিকা ও তাঁর পরিবারের তরফে কোতোয়ালী থানার পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে। ধৃত তিনজনকেই আজ মেদিনীপুর আদালতে পেশ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।