দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ এপ্রিল: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তথা পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম এক ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্র ‘মন্দিরময় পাথরা’। মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত সেই পাথরা’র সুপ্রাচীন ৩৪-টি মন্দির এবং সংলগ্ন জমি ২০০৩ সালে অধিগ্রহণ করেছে ভারত সরকারের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ বা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI বা Archeological Survey of India)। তবে, এখনও জমির মূল্য পাননি জমির মালিকরা। সেই সমস্যার সমাধানের জন্যই মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) মেদিনীপুরে এসেছিলেন ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বক্ষণ বা এএসআই (ASI)’র কলকাতা সার্কেলের প্রধান অধিকর্তা ড. রাজেন্দ্র যাদব, সহ অধিকর্তা ড. মুখার্জি। এদিন তাঁরা পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) সুমন সৌরভ মোহান্তি’র সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পাথরা পুরাতত্ত্ব সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার সামন্ত এবং প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তথা ‘কবীর’ পুরস্কার প্রাপ্ত ধর্মীয় সম্প্রীতির অগ্রদূত মহঃ ইয়াসিন পাঠান।

উল্লেখ্য যে, ইয়াসিন পাঠান এবং জয়ন্ত সামন্ত-রা বছরের পর বছর ধরে কৃষকদের জমির মূল্য প্রদানের বিষয়ে আন্দোলন করে আসছেন। প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৬ জুলাই কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি দপ্তরের অধীন আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বক্ষণ/ASI) প্রায় ১০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ল্যান্ড ভেলুয়েশন দপ্তর জানিয়েছে যে, বর্তমানে এই অধিগৃহীত জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার ১৩ টাকা। আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, অতি সত্বর ‘মন্দিরময় পাথরা’র অধিগৃহীত জমির মূল্য প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। এদিন, মোট ১১৬ জন জমি মালিকের মধ্যে ৮২ জন আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করে মেদিনীপুর সদর ব্লকের বিডিও (BDO) সুদেষ্ণা দে মৈত্র’র কছে জমাও দিয়েছেন। বাকি ৩৪ জনের অবশ্য ঠিকানা বা জমি সংক্রান্ত কাগজপত্রের সমস্যা আছে বলে জানা গেছে।











